• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুলবাড়ীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই হচ্ছে গরু জবাই

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পৌরশহরে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে কশাই খানা পরীক্ষানিরাক্ষা ছাড়ায় গরু জবাই হচ্ছে দেখার কেউ নেই। স্থানীয় পশু সম্পদ বিভাগ ডাক্তার প্রত্যেকটি কশাই তাদের গরুগুলি খাওয়ার উপযোগী কি না রোগ বালাই আছি কিনা তা পরীক্ষা করে একটি সার্টিফিকে প্রদান করবে। সেই সার্টিফিকেট দেখে পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক অনুমতি প্রদান করবে। অনুমতি পাওয়ার পর কশাইরা নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই করবে। 

কিন্তু ফুলবাড়ী পৌরশহরে কশাই খানা থাকলেও কশাই খানায় কোন গরু জবাই হয় না। পৌরশহরের বেশ কিছু জায়গায় ইচ্ছা মত গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করছে। দিনে তিন থেকে চারটি গরু বাড়ীতে জবাই করে এনে রাস্তার পাশে চকি ফেলে তার উপর মাংস বিক্রয় করছে। মাংস বিক্রয় করা অবস্থায় দেখা যায় মাংসর উপরে ধূলা বালু পড়ে জমা হয়ে আছে। রক্তগুলি শুকিয়ে দূর্র্গন্ত ছড়াচ্ছে। 

গত ১৫ বছর আগে ফুলবাড়ী পৌরসভা থেকে প্রায় ২০-২২ লক্ষ টাকা ব্যায় করে পশ্চিম গৌরপাড়া নদীর ধারে একটি কশাই খানা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে দুই একজন কশাই গরু জবাই করেন। বাকী কোন কশাই সেখানে গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করেনা। এতে অনেক রোগ আক্রান্ত গরু জবাই হচ্ছে প্রতিদিন। 

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক মুরাদ হোসেন পলাশ বলেন, ফুলবাড়ী পশু সম্পদ বিভাগের ডাক্তার দেখবেন। বাড়ী বাড়ী গিয়ে পশু পরীক্ষা করা আমার কাজ নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এ প্রথা চলার কারণে পৌরসভার আইনকানুন কোন কশাই মানছে না। আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। সে কারণে কশাইরা তাদের ইচ্ছা মত বাড়ী থেকে গরু জবাই করে এনে রাস্তায় মাংস বিক্রয় করছে। ফলে পরিবেশের চরম বিঘœ ঘটছে। সাধারণ মানুষ জানে না যে স্বাস্থ্যসম্যত গরুটি পরীক্ষা করে জবাই করা হয়েছে কি না। কিন্তু অনেক মানুষ গরুর মাংস ক্রয় নিয়ে ব্যবস্থ থাকে। একটু ভুলের জন্য ঐ মাংস খেয়ে মারাত্মক এ্যাথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হতে পারে।