• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

চলতি মৌসুমে রংপুরে আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা আলুর বাম্পার ফলনে খুশি। কৃষকরা জানান, হিমাগার মালিকরা বাধা সৃষ্টি না করলে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

কৃষকরা বলছেন, গত বছরে আলুর ভালো দাম ছিল। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আর এরমধ্যে আগাম জাতের আলু তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুরের পাঁচ জেলায় ৮৬ হাজার ৬৪২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার রংপুর অঞ্চলে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৭ মেট্রিক টন। যা গত বছর ছিল ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৩১ মেট্রিক টন।

পীরগাছা উপজেলার দেউতি এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। আগাম কিছু আলু বিক্রি করে দামও ভালো পেয়েছেন।

একই এলাকার সফর উদ্দিন জানান, তিনি ১৫ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। ভালো ফলন হয়েছে।

রংপুর অঞ্চলে গ্রানোলা, লরা, মিউজিকা, ক্যারেজ, রোমানা ও ফাটা পাকরি চাষ করেছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হয়েছে রংপুরে এবং সবচেয়ে কম লালমনিরহাট জেলায়। আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে জমিতে আলু তোলা শেষ হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম, চলতি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার মধ্যে রংপুরে ৫০ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী ২১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর, গাইবান্ধায় নয় হাজার ৩০, কুড়িগ্রামে ছয় হাজার ৪৪৫ এবং লালমনিরহাটে চার হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কৃষকরা আলুর ফলন ভালো পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট উৎপাদনের ১২ হাজার ৩৮৬ হেক্টর জমির আলু তোলা হয়েছে। ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৭ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৪৮ মেট্রিক টন বাজারজাত হয়েছে। মাঠে রয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। রংপুর অঞ্চলে আলু সংরক্ষণে ৬৭টি হিমাগার রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি হিমাগার রয়েছে রংপুরে এবং ১০টি নীলফামারী জেলার মধ্যে। বাকি তিন জেলায় ১৭টি হিমাগার রয়েছে।