• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

লালমনিরহাটে ফসলি জমি নষ্ট করে খাল খনন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

লালমনিরহাটে ফসলি জমি নষ্ট করে খাল খনন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই এলাকায় শত শত বিঘা আবাদী জমি ও জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় দুইশ ৭৬ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। এরইমধ্যে কৃষকদের ফসল ও জমির ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর খাল খননের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে খাল খননের চেষ্টা করছেন ঠিকাদার ও তার লোকজন। এ পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ অমান্যসহ এ খাল খনন যেন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলার পাঠানটারী এলাকার জোংড়া ইউপির কুমারটারী এলাকায় কৃষি জমির ফসল নষ্ট করে এ খাল খননের কাজ চলছে। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই এলাকায় এক কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার খাল খননের প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান রফিকুল ইসলাম ফরহাদ নামে এক ঠিকাদার। আইন অনুয়ায়ী খাল খনন শুরু করার আগে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিয়ম রয়েছে। 

কৃষি জমি অধিগ্রহণের নিয়মে আরো বলা হয়েছে, প্রয়াজনে তিনগুন বেশি মূল্য দিয়ে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এ প্রকল্পে কোনা কিছু না মেনেই হঠাৎ করে ঠিকাদার খাল খনন শুরু করেন। এতে শত শত বিঘা জমি এবং ওই সব জমির উঠতি ফসল নষ্ট হয়। 
পরে স্থানীয় কৃষকরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকার্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালর ৯ সেপ্টেম্বর কৃষকদের জমির সঠিক মূল্য প্রদান ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা দিলেও এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঠিকাদারের লোকজন খাল খননের চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। 

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জমির উদ্দিন, বিনয় চন্দ্র ও আব্দুল বাফত আলী বলেন, ঠিকাদারের পক্ষে পাটগ্রামের সামসুল হাজী নামে এক ব্যক্তি প্রায় সময় খাল খনন করেন। প্রতিবাদ করলে আমাদের নানাভাবে তার লোকজন ভয়ভীতি দেখান। তবে জানতে চাইলে এ অভিযাগ অস্বীকার করেন সামসুল হাজী। 

এ বিষয়ে ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম ফরহাদের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, সব নিয়ম মেনেই খাস জমিতে খাল খনন করা হচ্ছে। 

পাটগ্রামের ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, ওই খাল খননের কারণে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য মহামান্য হাইকার্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশনা মেনে ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।