লালমনিরহাটে  বিএসএফের হাতে বাংলাদেশরি মৃত্যু 

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে দেলদার হোসেন ওরফে দিলবার(২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আটক থাকা অবস্থায় বিএসএফের অমানুষিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ২২ জানুয়ারি আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের মেইন সীমান্ত পিলার ৯২৪ এর ১০ সাবপিলার এলাকায় তাকে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়। আদিতমারী থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি হলে বৃস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে জানাজানি হয়।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল এসএম তৌহিদুল আলম আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করলেও নিহতের খবর নিশ্চিত করেননি।  

অপরদিকে বিএসএফের হাতে আটক দেলদার হোসেন ওরফে দিলবার আটকের ঘটনায় আদিতমারী থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে ‘নিখোঁজ’ মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকার খয়বর আলীর ছেলে নিখোঁজ দেলদার হোসেন ওরফে দিলবারকে(২৯) গত ২১ জানুয়ারি থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে তার ভগ্নিপতি ইসমাইল হোসেন ৫ ফেব্রæয়ারি, ২০২০ তারিখে সকাল ১১টার দিকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ভারতে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে মর্মে ওই সাধারণ ডায়েরিতে কোনো কথা উল্লেখ করা নেই।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে দেলদার হোসেন ওরফে দিলবারের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমি ৫ বছর বয়সী মেয়ে দিলুফা খাতুনকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে ছিলাম। আমার স্বামীর মাথায় সমস্যা আছে। সে কোথায় গেছে আমরা খোঁজাখুজি করে পাচ্ছিলাম না। পরে ৫ ফেব্রæয়ারি আদিতমারী থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর জানতে পারি আমার স্বামী ভারতে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে। পরে জানতে পারি, ও না কি মারা গেছে। এখন মরদেহ কোচবিহার হাসপাতালে আছে। আমি বিজিবির নিকট সাহায্য চেয়েছি।’

জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয় কোচবিহার রানীনগর-১০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কদমা বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডারে মাধ্যমে জানাগেছে গত ২২ জানুয়ারি দিলবার হোসেন নামে এক বাংলাদেশিকে তারা আটক করেছিল। শুক্রবার(৭ ফেব্রæয়ারি) বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর আমরা নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই বাংলাদেশি নিহত না জীবিত রয়েছে।’