• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুড়িগ্রাম পৌরসভার উন্নয়ন কাজে বাঁধা: মেয়র লাঞ্ছিত 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুড়িগ্রাম পৌরসভার মালিকানাধীন চাউল বাজার উন্নয়ন কাজ তদারকীকালে পৌর মেয়র আব্দুল জলিল’র উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতা হযরত আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পরও আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের টালবাহানায় নাগরিক সেবা বন্ধে চব্বিশ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে পৌর কাউন্সিল ও কর্মচারীবৃন্দ। 
    জানা যায়, কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌরসভার মালিকানাধীন সাড়ে ৫০ শতক জমির উপর ১৮টি দোকানসহ ৩৪টি ভিটি (খোলা দোকান) রয়েছে। জরাজীর্ন এসব দোকান সংস্কারে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। উপরোক্ত জায়গা পৌরসভার নয় দাবী করে একটি পক্ষ উন্নয়ন কাজে বাঁধা দিয়ে গত সোমবার (৩ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে মেয়রসহ পৌর পরিষদ, ঠিকাদার ও পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে তদারকীতে গেলে তাদেও উপর হামলার ঘটনা ঘটায়।
    এ ব্যাপারে মেয়র আব্দুল জলিল জানান, ঠিকাদারসহ মার্কেটে পৌঁছলে বিএনপি ও জামায়াতের অর্থদাতা পৃষ্ঠপোষক হজরত আলীসহ একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমাকেসহ সহকর্মীদের লাঞ্ছিত করে। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ঐদিনই হযরত আলী, রফিকুল ইসলাম, শেখ বিপুল, মিঠু মিয়া, আব্দুস সালামের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেকের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করা হয়। পুলিশ বুধবার এজাহার ভুক্ত ৩জনকে আটক করলেও অদৃশ্য কারণে রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদও থানার অফিসার ইনচার্জ আসামীদের না ধরে থানায় এসে আমাকে আপোষ মীমাংসার অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছেন। 
পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোস্তম আলী তোতা ও পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি হাফিজুর রহমান বুলু জানান,  আমরা চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। শনিবারের মধ্যে অভিযুক্ত আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে রোববার থেকে শুরু হবে কর্মবিরতি। এ সময় থেকে পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ,কঞ্জারভেন্সীসহ সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
হযরত আলী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি অনেক আগে বিএনপি’র জেলা কমিটিতে যুক্ত ছিলাম। এখন কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে সব ঘটনা অপপ্রচার। তিনি দাবী করেন, তারা হামলা না করলেও উন্নয়ন কাজে বাঁধা দিয়েছেন। কারণ এ জায়গা পৌরসভার নয়। আমরা ৪০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা কওে আসছি। আমরাও এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পুলিশকে দিয়েছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান জানান, এখনও মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তবে প্রাপ্ত অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে বাদী বিবাদী নিজেরাই আপোষ মীমাংসা করে নিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।