• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

বীরগঞ্জে ফসল বাঁচানোর দাবীতে মানববন্ধন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নদী থেকে উত্তোলন করা বালু চরের ফসলি জমির উপর ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদী খননের পর সেই বালু চরের ফসলি জমির ওপর ফেলা হয়। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আত্রাই নদীর চরে ভূমিহীন কৃষকেরা তাদের ফসল ঘরে তোলার জন্য দুই মাস সময় চেয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে কৃষকেরা দাবি করেন, আত্রাই নদীতে জেগে ওঠা চর এলাকায় পেঁয়াজ, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে চর এলাকার ভূমিহীন কৃষকেরা সংসার চালান।

এদিকে নদীগুলোর নাব্যতা ফেরাতে সারা দেশেই নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। বীরগঞ্জের কাশিমনগর গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ নদীর চরে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসলেও নদী খননের বালু ফসলি জমিতে ফেলায় ফসল নষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে দুই মাস সময় দিলে ফসল ঘরে তোলার পর নদীর বালু সেসব জায়গায় ফেললে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক। 

মানববন্ধনে কাশিমনগর এলাকার ফজর আলী বলেন, ‘আমি নদীর চরে ৯ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছি। এ ছাড়া ধান ও ভুট্টা লাগানো হয়েছে। আমার মতো অনেক ভূমিহীন কৃষক চরে আবাদ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে নদী খননের মাধ্যমে যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেই বালু আমাদের ফসলের ওপর ফেলায় আমরা হুমকির মুখে পড়েছি। আমি ২ লাখ টাকা খরচ করে এসব চাষাবাদ করছি। যদি বালু ফেলে আমার ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমার পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিমনগর  গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর সালাম বলেন, আমাদের এখানে অনেক মানুষ ভূমিহীন, তারা এই জমিতে আবাদ করে সংসার চালান। আমরা চাই এসব অসহায় মানুষদের ২ মাস সময় দেওয়া হোক,তারা যেনো ফসল ঘরে তুলতে পারে। আর বালু ফেলানোর জন্য অনেক জাগা আছে।

এর আগে গত শনিবার এলাকাবাসী ৪০ দিনের সময় চেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানান। আবেদনের বিষয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে কাশিমনগর এলাকার কৃষকরা এসে ৪০ দিনের সময় চেয়ে একটি আবেদন দিয়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যাতে কৃষকদের ক্ষতি না হয় আবার সরকারি কাজও বন্ধ না থাকে। আশা করি বিষয়টি সমাধান হয়ে দুই পক্ষের কাজই চলমান থাকবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তৌহিদ সারোয়ার বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই ওই সব এলাকায় নদীর চরে যাতে কেউ ফসল না রোপণ করে সে জন্য প্রচারণা চালিয়েছি। আজকে যেহেতু এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন করেছে সে জন্য আমরাও একটু সরেজমিন গিয়ে দেখতে চাই। যদি একান্তই সমস্যা হয় তাহলে বিষয়টি আমরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।