• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুরে হঠাৎ বেড়ে গেছে ফেস মাস্ক বিক্রি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

চীন ফেরত দুই শিক্ষার্থী রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সেখানে ফেস মাস্ক বিক্রি বেড়েছে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও পথে ঘাটে সবখানেই সাধারণ মানুষ ফেস মাস্ক মুখে পড়েছে। ফেস মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ায় বিক্রেতারাও খুশি। তারা ফেস মাস্ক প্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম নিচ্ছেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফেস মাস্ক বিকিকিনির এসব চিত্র দেখা গেছে। মূলত চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আতঙ্ক থেকেই মুখে ফেস মাস্ক ব্যবহার বেড়ে গেছে।

সরেজমিনে মহানগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত চত্বর, সিটি বাজার ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখন ফেস মাস্ক পরিহিত অবস্থায় চলাফেরা করছেন। ভ্রাম্যমাণ ভ্যান ও ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে বিপণিবিতান এবং মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে ফেস মাস্ক বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর মহানগরীর প্রেসক্লাব চত্বর ধর্মসভার কাছে ফেস মাস্ক বিক্রেতা শাহিন হোসেন জানান, পাঁচ বছর ধরে ফেরি করে ফেস মাস্ক বিক্রি করছেন তিনি। তবে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়ায় বিক্রি বেড়ে গেছে। বর্তমানে ১০ টাকার ফেস মাস্ক ২০-২৫ টাকা, ২০ টাকার ফেস মাস্ক ৪০-৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার ফেস মাস্ক ১৫০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মহানগরীর ফার্মেসিগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফেস মাস্ক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

রংপুর মহানগরীর ছালেক মার্কেটের কাছে ফেস মাস্ক পরিহিত যুবক হারুন অর রশিদ জানান, শুধু করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নয়, সচেতনতা থেকেই ফেস মাস্ক ব্যবহার করছেন।

ফেস মাস্কের ব্যবহার প্রসঙ্গে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় সহযোগী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘শুধু আতঙ্ক থেকে নয়, সব সময়ই আমাদের বাসার বাইরে ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ধুলাবালি থেকে ছড়ানো রোগজীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সাধারণ মানুষ সতর্ক হয়ে ফেস মাস্ক ব্যবহার করছে।’