• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

পার্বতীপুরে বনভোজনের টাকা দিতে ব্যর্থ ১৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বার্ষিক বনভোজনের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে। বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের এ ছাড়পত্র দেন। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছয়, ৭ম শ্রেণির তিন, ৮ম শ্রেণির পাঁচ ও নবম শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে রয়েছে। এ ঘটনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভুক্তভোগী পাঁচ শিক্ষার্থী বিকেলে পার্বতীপুরের ইউএনও কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৪০০ টাকা চাঁদা ধরা হয়। টাকার অভাবে ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার টাকা দিতে না পারায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন, নির্ধারিত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় আমাদের সন্তানেরা স্কুলের বনভোজনে অংশ নিতে পারেনি। এজন্য তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আমরা প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের উপযুক্ত বিচার ও অপসারণ চাই।

ছাড়পত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০। বার্ষিক বনভোজনের জন্য ৪০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। এতে অংশ নেয় ২৫০ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে এলাকার কিছু বখাটে ছেলে পৃথকভাবে একটি বাস ও দুটি মাইক্রো নিয়ে আমাদের সঙ্গে একই স্থানে বনভোজনে যায়। তাদের সঙ্গে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীও ছিল। কিছু বখাটে ছেলে আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। বখাটেদের সঙ্গে যাওয়ার অপরাধে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মতামত নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, সভাপতি ঢাকায় থাকায় তার মতামত নেয়া হয়নি। তবে সভাপতি ছাড়া বনভোজনে অংশ নেয়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সদস্যের পরামর্শে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেরাজুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পার্বতীপুরের ইউএনও’র কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে। এর একটি অনুলিপি আমি পেয়েছি।