• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে ফুলের চাষ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর এ দিবসগুলোকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ফুল চাষিরা। বিয়ে ,জন্মদিন,পার্টিসহ নানা অনুষ্ঠানে ফুলের কদর রয়েছে। আর এ ফুলের চাহিদাকে মাথা রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ  শুরু হয়েছে। এতে একদিকে যেমন জেলার চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি লাভবানও হচ্ছেন চাষিরা। আগে ঠাকুরগাঁওয়ে নার্সারি পর্যায়ে ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চাষিরা। 

ঠাকুরগাঁওয়ের নারগুন, বেগুন বাড়ি আশ্রম পাড়া, আকচা, বড়গাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক জন কৃষক এই ফুল চাষ শুরু করেছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষের পদ্ধতি সহজ এবং বীজ বপনের ৩ মাস পর থেকেই ফুল সংগ্রহ করা যায়। দামও তুলনামূলক বেশি হওয়ায়  লাভবান হচ্ছেন ফুল চাষিরা। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্য কৃষকরাও। বর্তমানে এ জেলায় গোলাপ,রজনিগন্ধা,গাদা,গ্লাডিওলাসসহ নানা জাতের ফুল চাষ হচ্ছে।

ফুল চাষি জুম্মন খান জানান, কৃষি লোন ও সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে তারা আরো বড় আকারে ফুলের চাষ করতে পাড়বেন। আগামী ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

ফুল ব্যবসায়ী মিজান বলেন, আগে আমাদের যশোর থেকে ফুল আনতে হতো। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। তাই নিজেই ফুল চাষ শুরু করে দেই এখন নিজের বাগানের ফুল নিজেই বিক্রি করি। ফুল চাষ বৃদ্ধির ফলে এক দিকে যেমন জেলার চাহিদা মিটছে অন্য দিকে অনেক কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। 

নারগুন গ্রামে ফুল বাগানে কাজ করে নবম শ্রেণির ছাত্রী তপসা রাণী। সে জানায়, ফুল বাগানে কাজ করে তার যা আয় হয় এ দিয়ে সংসার ও পড়াশুনার খরচ চালায় সে। সেফালি বেগম জানান, ফুল বাগানে কাজ করে মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পায় সে । এ দিয়ে তার সংসার ভালোই চলছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অন্যরা ফুল চাষে এগিয়ে আসলে অন্য অঞ্চলের মতো এ জেলাও ফুল চাষে সমৃদ্ধ হবে।