• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুড়িগ্রামের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চন্ডিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফুড পয়জনিং বা মাস সাইকোজেনিক ইলনেস রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। সন্তানদের হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। আতংকিত শিক্ষার্থীরা ও অভিভাককদের চিকিৎসকরা আস্বস্থ্য করেছেন সবাই আশংকামুক্ত রয়েছে।  


এ ঘটনায় নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেও অপর এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের বাইরে আচার বিক্রেতা ইমান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাগেশ^রী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।


বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফা রানী জানান, পাইলট প্রকল্পের অধীন উপজেলার এ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। ক্লাস চলাকালিন সময়ে হঠাৎ এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাকে  অফিস কক্ষে এনে মাথায় পানি ঢালাঢালি করে চিনি সরবত খাওয়ানোর পরও সুস্থ্য না হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর একইভাবে অসুস্থ হলে ১২ জনকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।


শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে আসার পর এ্যাসেম্বলি শেষ করে ক্লাসে গেলে প্রথমে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিম অসুস্থ্য হয়। এর পরপরই সপ্তম শ্রেণির শিমু, সায়মা, মিম, অষ্টম শ্রেণির লুবনা, মাসুম বিল্লাহ, ববিতা, বিলকিছ, জোবায়ের, ৫ম শ্রেণির হানিফ, ৪র্থ শ্রেণির ফাহাদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির রুবাইয়া, দ্বিতীয় শ্রেণির আঁখিসহ ১৫ জন অসুস্থ্য হয়। এদের অনেকে স্কুলের কাছে খোলা দোকানে আচার ও ঝালমুড়ি খেয়েছিল। এ কারণে অসুস্থ্য হয়েছে বলেও অনেকের ধারণা। 
অভিভাবক কামরুল, হাসান আলী ও সাজেদা বেগম জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রæত হাসপাতালে ছুটে আসি। প্রাথমিকভাবে আচার বা চানাচুর খেয়ে তারা ফুড পয়জনিং-এ ভর্তি হয়েছে বলে জানান। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি এদের মধ্যে কেউ কেউ আচার-চানাচুর না খেয়েও অসুস্থ্য হয়েছে। ভয়ে বা আতংকে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হতে পারে।


নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন কবীর জানান, অসুস্থ্য সকলেই চানাচুর বা আচার খায়নি। একজনের অসুস্থ্য হওয়ার পর তার অবস্থা দেখে অন্যরা সাইকোজেনিক ইলনেসের কারণে অসুস্থ্য হতে পরে। আচার ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা ইমান আলীকে নিয়ে কথা ওঠায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। 


নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, মাস সাইকোজেনিক ইলনেস কিংবা ফুড পয়জনিং এর কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হতে পারে। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক স্বাস্থসেবা দিয়ে যাচ্ছে। একজনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।


কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: আল আমিন মাসুদ জানান, অসুস্থ্য একজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার অবস্তা আশংকামুক্ত।