• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিনাজপুরে সাবেক পৌর কাউন্সিলরের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুর বোচাগঞ্জে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আইয়ুব আলীকে  গভীর রাতে থানা পুলিশ তুলে এনে তা অস্বীকার করায় গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর শহরে ষ্টেশন রোডস্থ সাংবাদিক ইউনিয়ন অফিসে সকাল সাড় ১০ টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রীর সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম জানান, বোচাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আইয়ুব আলীকে গত ১২ ফেব্র“য়ারি রাত পৌনে ১১ টায়  বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ মুর্শিদাহাট রেল কলোনী পাড়ায় তার বাসায় প্রবেশ করে এস. আই সুকুমার, এ. এস. আই  সোহেলসহ ৬/৭ জনের সঙ্গীয় ফোর্স ওসি সাহেবের কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। স্ত্রী আনোয়ারা তাৎক্ষনিক থানায় গিয়ে স্বামী আইয়ুবকে থানা হাজতে দেখতে পান। কি কারণে তুলে আনা হয়েছে মর্মে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেন। স্বামী জানায়, তুমি ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে কথা বলো। আমার নামে কোন মামলা মোকদ্দমা বা ওয়ারেন্ট নেই। ওসি’র সাথে আনোয়ারা দেখা করতে গেলে থানার পুলিশ তাকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয়। ঘটনার ১০ মিনিট না যেতেই একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে থানার বাইরে বাতি বন্ধ করে আইয়ুবকে মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী আনোয়ারা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, আমরা ডিবি পুলিশ। এক আসামীকে নিতে এসেছি। স্ত্রী আনোয়ারা আবারও জানতে গেলে থানার পুলিশরা জানায়, আপনার স্বামীকে আমরা আনি নাই। অন্য জায়গায় খোঁজ নেন। স্ত্রী আনোয়ারা রাত  দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ওসি’র সাথে দেখা করতে না পেরে বাড়ীতে ফিরে আসে। পরদিন ১৩ ফেব্র“য়ারি সকালে দিনাজপুর জেলা শহরে এসে প্রথমে কোতয়ালী থানা, ডিবি অফিস, র‌্যাব, পুলিশ লাইন, আবগারি ও পুলিশ সুপার পর্যন্ত খোঁজ খবর নেন এবং তার স্বামী আইয়ুবকে আটকের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা  করেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অস্বীকার করায়, তিনি হতাশায় পড়েন। অতঃপর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত জানালে বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বা ওসি’র সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু ওসি’র সাথে কথোপকথনে জিজ্ঞেস করা হলে তাকে কী অপরাধে ধরে আনা হয়েছে জানতে  চাইলে ওসি অস্বীকার করে বলেন, কোন আসামীকে এখানে আনা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী আরও জানান স¤প্রতি তার স্বামীর জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় ৯ ফেব্র“য়ারি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। অথচ কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটকের বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করায় তিনি ও তার পরিবার হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছেন। এ কারণে তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে  উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তার পরিবারবর্গসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।