• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

বর্জ্য অপসারণে ব্যবহার উপযোগী স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ডেইরি খামারের বর্জ্য অপসারণের জন্য বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন রংপুরের সন্তান পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আজমল হুদা তপন। তিনি ওই যন্ত্রের নাম দিয়েছেন অটোমেটিক ফার্ম ক্লিনিং স্ক্র্যাপার। এটি একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা স্ক্র্যাপারের সাহায্যে গরু দাঁড়ানো অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে খামারের বর্জ্য পরিষ্কার করবে ও ড্রেনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করবে। যন্ত্রটিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে।

যন্ত্রটির উদ্ভাবক ডা. মো. আজমল হুদা তপন জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি খামারের বর্জ্য অপসারণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এটি নিয়ে কাজ শুরু করি। আমি চিন্তা করতে লাগলাম খামারে স্বয়ংক্রিয় কোনো যন্ত্র লাগানো যায় কিনা, তাহলে খুব সহজেই ডেইরি খামারের জীব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যাবে। এই চিন্তা থেকেই কাজ শুরু করলাম। বর্তমানে এ যন্ত্রটি আমার ডেইরি খামারে সফলভাবে কাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ডা. আজমল হুদা তপনের ডেইরি খামারে অটোমেটিক ফার্ম ক্লিনিং স্ক্র্যাপার যন্ত্রটি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে খামারের গরুর কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।

ডা. আজমল হুদা তপন বলেন, খামারিকে খুব সহজেই এই যন্ত্রের কার্যাবলি বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব। সাধারণত আমাদের দেশে যেসব খামারে ১০ থেকে ১২টি গরু আছে, সেখানে এই যন্ত্রটি হতে পারে খামার যান্ত্রিকীকরণে প্রাথমিক পদক্ষেপ। ১০ থেকে ১২টি গরুর খামারে বর্জ্য অপসারণে শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করলে মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচ হবে। প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটি প্রস্তত করতে ষাট হাজার টাকা প্রয়োজন।

তিনি আরো জানান, এ যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেলে আরো কম দামে খামারিদের কাছে সরবরাহ করা সম্ভব।

যন্ত্রটির ব্যবহারকারী রেজাউল করিম লাল মিয়া জানান, অনেক সময় খামারে কাজের লোক পাওয়া যায় না। খামার নোংরা হয়ে থাকত। এতে খামারে রোগবালাই লেগে থাকত। বর্তমানে এই যন্ত্র ব্যবহারের ফলে খামারে কোনো সমস্যা নেই। 

আজমল হুদা তপন জানান, অটোমেটিক ফার্ম ক্লিনিং স্ক্র্যাপার নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। সরকারি সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরো উন্নত ও সাশ্রয়ী উপায়ে এটি তৈরি করা যাবে। সারাদেশের ডেইরি খামার যান্ত্রিকীকরণে এই যন্ত্র ভূমিকা রাখবে।