• শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৩ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

হাতুড়ির আঘাতে মা, মেয়েকে গলাটিপে-ফাঁস দিয়ে ছেলেকে হত্যা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

শনিবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে ফরেনসিক রিপোর্ট শেষে ডাক্তার জানান, নিহত মা মুন্নী রহমানের মাথায় হাতুড়ির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া মেয়েকে গলা টিপে এবং ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা হয়েছে। রাজধানীর দক্ষিণ খানে এ ঘটনা ঘটে। মুন্নী রহমানের চাচাতো ভাই মামুনুর রশীদ বাবু জানিয়েছেন, আর্থিক চাপে পরে এমন ঘটনা হয়তো ঘটিয়েছেন নিহতের স্বামী রকিব উদ্দিন। এছাড়া তিনি দাবি করেছেন তাদের হত্যার আগে একটি নোট লিখে গেছেন নিখোঁজ রকিব উদ্দিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তার পরিবার যেন কারো বোঝা না হয় এজন্য তিনি তাদের হত্যা করেছেন। কোনো এক রেল লাইনের পাশে মৃত অবস্থায় রকিব উদ্দিনকে পাওয়া যাবে বলেও লিখে গেছেন তিনি।

এই ঘটনার পর বাসার বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। পাশের ভাড়াটিয়ারা জানান তেমন পারিবারিক কলহ ছিল না পরিবারটিতে। তবে গত কয়েক দিন ধরে নিহত স্ত্রী মুন্নী বেগম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।

পুলিশের উওরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত চলছে। শুক্রবার রাতে প্রেমবাগান এলাকায় ৮৩৮ নম্বর বাড়ি থেকে মা মুন্নী বেগম, ছেলে ফারহান ভুঁইয়া এবং মেয়ে লাইবা ভুঁইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর স্বামী রকিব উদ্দিন ভুঁইয়ার কোনো খোঁজ মিলছে না।

প্রতিবেশীদের কেউ কেউ দাবি করছেন, এই ঘটনার কয়েক দিন আগে বিটিসিএলের উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রকিব উদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন। এছাড়া কদিন ধরে স্ত্রী মুন্নী বেগম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত ছেলে ফারহান ভুঁইয়া স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। ২০১১ সাল থেকে দক্ষিণ খানের আশ্রয় ভবনের চতুর্থ চলায় ভাড়া থাকতো এই দম্পতি।