• শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

সৈয়দপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ পণ্ড

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভূমি) হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে এক স্কুল ছাত্রী।  সে বোতলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।

উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন হাজীপাড়ায় ১৫ জুন মাঝরাতে ওই বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে এসিল্যান্ড পরিমল কুমার সরকার ওই বিয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় ওই বিয়ে বাড়ি থেকে মেয়ের বাবা-মা'সহ কয়েক নিকটাত্মীয়কে আটক করা হয়। পরে মেয়ের বাবা মো. ফারুক (৩৬) ও সম্পর্কের এক নানা মো. আমির আলীকে (২৮) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের রবিবার নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না মর্মে তার বাবা-মায়ের কাছে থেকে একটি লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ওই বাল্য বিয়েতে বর ছিল নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের শিমুলতলীর জনৈক বাবু। বাল্য বিয়ের বিষয়টি মুঠোফোনে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুভার সদস্যদের নিয়ে ওই বিয়ের বাড়িতে হাজির হলে বর ও কনে পক্ষের লোকজন বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পাশের একটি বাড়িতে তল্লাশি করে আত্মগোপনে থাকা মেয়ে, তার বাবা-মা ও আত্মীয়দের সেখান থেকে আটক করা হয়। 

 এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের (সুভা) সদস্য মো. আহসান হাবিব জনি,তাবাস্সুম, জিনাত আরা জিতু, মো. আমির হোসেন, নওশাদ আনসারী, সোহাগ আন নাফিস, শাহিন, সোহেল রানা ও সুজন প্রমুখ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার জানান, বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। তা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সুভার সদস্যরা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।