• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে মহিষ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০১৯  

পঞ্চগড় জেলায় কালের আবর্তে মহিষ বিলুপ্ত হতে চলেছে মহিষ। আগের মতো আর এ জেলায় মহিষ পালন চোখে পড়ে না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অল্প কয়েকটি মহিষ এর সন্ধান পাওয়া গেছে। 

এ অঞ্চলে আগে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারের কৃষকরা মহিষ পালন করতো। এ মহিষ দিয়ে তারা কৃষি জমি চাষবাদসহ মহিষ এর গাড়ি চালাতো। এখন এ এলাকায় আর মহিষের গাড়ী চোখে পড়ে না। মহিষের গাড়ী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কৃষিতে এসেছে নানান পরিবর্তন। এখন আর কৃষকরা মহিষ অথবা গরুর হাল দিয়ে চাষ বাদ দিয়ে দিয়েছে। এ মহিষ পালন কমে যাওয়ায় এখন এর দাম অনেক। এখন একটি ছোট মহিষ কম পক্ষে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। এখন আর আগে মতো এ জেলার হাট-বাজারে মহিষ বিক্রি হয় না। মহিষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এক অনুসন্ধানে জানা যায়, এখন মহিষ বিক্রি হয় প্রতি বছরের মেলা চলাকালীন সময়ে। প্রতি বছর কালীপূজার সময় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়েনের কালীগঞ্জে কালী মেলা বসে। এ মেলায় মহিষ বিক্রি হতে দেখা যায়। অপরদিকে প্রতিবছর আটোয়ারী উপজেলার রাস পূর্ণিমাতে আলোয়াখোয়া মেলা বসে। মাসব্যাপী এ মেলায় মহিষ বিক্রি করতে দেখা যায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের মতো আর মেলায় মহিষ বিক্রি হয় না। তাছাড়া অল্প সংখ্যক মহিষ আনা হয় বলে দাম অনেক বেশি। মহিষ পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আর মহিষের মাংস খেতে পারে না। আগের সময় মাইক দিয়ে ঢোল বাজিয়ে হাট-বাজারগুলোতে মহিষের মাংস বিক্রি হতো। বর্তমানে সেই চিত্রটি বদলে গেছে। এক সময় মহিষের মাংস এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করতো এবং এর মাংস খুবই সুস্বাধু ছিল। 
মহিল পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সচেতন মানুষের ধারণা যদি বিলুপ্ত প্রায় মহিষ পালনে এ অঞ্চলের মানুষদের আগ্রহী করা যায় তাহলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, আমাদের আমিষের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ উপজেলার মহিষের খামার গড়ে ওঠেনি। আমাদের কাছে যদি কেউ এ মহিষ পালনের কথা বলতে আসে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের কথা বলি। 

তিনি আরো বলেন, এখন আর আগের মতো ঘাস না থাকায় মহিষ পালনে কেউ এগিয়ে আসে না। যদি পর্যাপ্ত ঘাসের ব্যবস্থা করা যায় এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে মহিষ পালন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।