• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯  

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চেলের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। চরাঞ্চলগুলোসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয় পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। সরকারের ত্রাণ সহায়তার অপেক্ষায় এখন কবলিত এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ।

বৃহস্পতিবার রংপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান। ভুক্তভোগীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান পানিবন্দী লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি ও বাগেরহাট গ্রাম পরিদর্শন করেন। কথা বলেন পানিবন্দী মানুষের সঙ্গে। আশ্বস্ত করেন তাদের। 

গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার। বর্তমানে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে উপজেলার তিস্তা নদী বিধৌত ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির। পানিবন্দী পরিবারগুলো রান্না না করতে পেরে শুকনো খাবার খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।এছাড়াও গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। 

জানা যায়, গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি, শংকরদহ, বাগেরহাট, জয়রাম ওঝা, চল্লিশশাল, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর, চিলাখাল, বিনবিনা গঙ্গাচড়া সদরের ধামুর, মর্ণেয়া ইউনিয়নের ছোট রুপাই, রামদেব, কামদেব, নরসিংহ, নীলারপাড়, আলমবিদিতর ইউনিয়নের হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া, নোহালী ইউনিয়নের মিনাবাজার, চর বাগডহড়া ও চর নোহালী গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করা হয়নি। 

পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম, গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা, লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী প্রমুখ। 

পানিবন্দী লোকজনকে সহযোগিতার বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, শুকনো খাবার পর্যাপ্ত রয়েছে, তালিকা পেলে সরবরাহ করা হবে।