• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের ওপরে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০১৯  

কৃষক পর্যায়ে জিংক ধানের আবাদ সহজ ও আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বায়োফর্টিফাইড জিংক ধানের চাষাবাদ কৌশলের উপর তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁয়ের ইএসডিও-চেতনা বিকাশ কেন্দ্রে শেষ হয়েছে। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আফতাব হোসেন। 

প্রশিক্ষণে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষন), ইনরিচ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসারগন গ্রহণ করেন। হারভেস্ট প্লাস-আইএফপিআরআই আয়োজিত এ প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, উদ্ভিদ রোগতত্ব বিভাগের প্রধান বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা, ড. তাহমিদ হোসেন আনসারী, কীটতত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মোঃ নজমুল বারী, রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আদিল বাদশা, স্থানীয় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ সুব্রত কুমার সেন এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার ডঃ এম এ ছালেক ও হারভেষ্ট প্লাস বাংলাদেশ রংপুর অফিসার এগ্রিকালচার রির্চাস এন্ড ডেভেলোপমেন্ট অফিসার মোঃ রুহুল আমিন মন্ডল। 

প্রশিক্ষণে জেলায় জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন ও বীজ সংরণ বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। এছাড়া জানানো হয়, ডায়াবেটিস, রাতকানা, রক্তশূন্যতা ও শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধী গুণসম্পন্ন জিংক ধান বিশ্বে প্রথম উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ। 

জিংক ধানের জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ। নতুন উদ্ভাবিত এ উচ্চফলনশীল ধানে একদিকে যেমন ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যাবে, অন্যদিকে এ ধানে ভিটামিনের বিভিন্ন উপাদান যুক্ত থাকায় নানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। নিয়মিত এ ধানের ভাত খেলে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। তাই দেশের মানুষের পুষ্ঠিহীনতা দূরীকরনের জন্য জিংক সমৃদ্ধ ধানের বিকল্প নেই। সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে জিংক ধানের ভূমিকা অনষিকার্য। 

জিংক সমৃদ্ধি এই ধান চাষকে কৃষক পর্যায়ে আরো বিস্তৃত করার জন্য ভূমিকা রাখতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।