• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাবা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৯  

শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে মারপিট করছে। এমন খবরে তাড়িঘড়ি করে ছুটে যান বাবা। সেখানে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাবাকেও বেদম পেটান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এ ঘটনায় লজ্জা, ক্ষোভ আর অপমানে অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় গুরুতর আহত বাবা জহুর আলীর।

শনিবার রাত ৯টায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের শিবনাথের বস ঝাকুয়াবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। রোববার সকালে জহুর আলীর ময়নাতদন্ত করা হয়।

নাগেশ্বরী থানার ওসি রওশন কবীর বলেন, এদিন রাতেই নিহতের মেয়ে মহসিনা খাতুন ৬ জনকে আসামি করে নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, আসামিরা হলেন শ্বশুর মোকছেদ আলী, শাশুড়ি রাশিদা বেগম, দেবর ওসমান গনি, ননদ আয়েশা খাতুন, চাচা শ্বশুর আজিজুল হক ও চাচি শাশুড়ি জোসনা বেগম। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে মহসিনা খাতুনের সঙ্গে মমিনুর রহমানের বিয়ে হয়। উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের উড্ডামারী চরুয়াপাড়া গ্রামের জহুর আলীর মেয়ে মহসিনা। আর পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ ইউনিয়নের শিবনাথেরবস ঝাকুয়াবাড়ি গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে মমিনুর। তাদের সংসারে মনজু খাতুন (৫) ও মাহমুদুল হাসান (২) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই মহসিনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এর মধ্যে তার স্বামী মমিনুর দুই মাস আগে ঢাকায় কাজের সন্ধানে যায়। এরপর মহসিনার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

গেল শনিবার মহসিনাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেদম মারপিট করছে, এমন খবরে পিতা জহুর আলী মেয়েকে দেখতে যান। এ সময় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন জহুর আলীকেও বেদম মারধর করেন।

এতে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে কাঁচা রাস্তার পাশে ঢলে পড়ে মারা যান জহুর আলী। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত মহসিনাকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।