• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পঞ্চগড়ে মাদরাসা ছাত্রী আসমার দাফন সম্পন্ন

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯  

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগি থেকে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রী আসমার লাশ বুধবার সকাল ১১ টায় তার নিজ গ্রাম শিংপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় শিংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্বাস আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক ও আসমার বাবা আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আসমা হত্যার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। জানাজায় অন্যদের মধ্যে  জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ইকবাল হোসেন ও পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আককাস আহম্মদসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। এর আগে সকাল ৭ টায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আসমার বাড়িতে পৌঁছলে মা বাবাসহ আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের মানুষরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকে ছায়া নেমে আসে পুরো গ্রামে। মেয়ের জানাজার পর সরকারের কাছে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়েছেন তার বাবা মা। 

পঞ্চগড় জেলা সদরের শিংপাড়া এলাকার কনপাড়া গ্রামের দিনমুজুর আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মেয়ে আসমা। সে স্থানীয় খাঁনবাহাদুর মখলেছুর রহমান আলিম মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পাস করেছে। আসমার সাথে পাশর্^বর্তী সীতাগ্রামের আবু হানিফ ওরফে টায়ার ভুট্টোর ছেলে মারুফ হাসান বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্থানীয়রা জানায় গত রোববার তারা দুজন একই সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বলাকা কমিউটার ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগি থেকে আসমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার জন্য আসমার পরিবার তার প্রেমিক বাঁধনকেই দায়ী করছেন। ময়নাতদন্তে আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার আসমার চাচা রাজু ইসলাম বাদী হয়ে আসমার প্রেমিক বাঁধনকে প্রধান আসামী করে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক বাঁধন পলাতক রয়েছে।