• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা দেয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ভূরুঙ্গামারী থানায় অবস্থান নেয় ৫ শতাধিক এলাকাবাসী। কিশোরীটি উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাইশমারী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের কন্যা। সে বাইশমারী ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের কন্যা ফাহিমা খাতুন (১৩) মামীর সাথে ৫দিন পূর্বে সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে মামার শশুর জহির উদ্দিনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এরমধ্যে বুধবার দুপুরে ফাহিমা মোবাইলে তার বাবাকে বাড়ীতে নিয়ে যেতে কথা বলে। এর ঘন্টা খানেক পর আত্মীয়ের বাড়ী থেকে ফোন আসে তার মেয়ে অসুস্থ জানিয়ে। খবর পেয়ে ফাহিমার মামা হাফিজুর রহমান, মা মর্জিনাসহ তার বাবা ফরহাদ হোসেন বাড়ী থেকে আত্মীয়ের বাড়ীতে এসে জানতে পারেন তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যা কি কারণে করেছে তা কেউ বলতে পারছিল না। পরে কিশোরীটিকে তার মা-চাচীরা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পান তার গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে কাপড় দিয়ে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিশোরীটি বাইশমারী ফাজিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করত।

পরে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বুধবার রাতে কিশোরীটির বাবা ফরহাদ হোসেন থানায় মামলা করতে আসলে অপমৃত্যু মামলা নেয় পুলিশ। এদিকে বুহস্পতিবার সকালে এলাকার ৫শতাধিক বাসিন্দা থানায় আসেন মামলা নেয়ার দাবীতে। তবুও মামলা নেননি থানার ওসি।

মেয়েটির মামা হাফিজুর রহমান জানান, মেয়েটির আত্মহত্যার প্রশ্নই আসেনা। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান, আত্মহত্যা সম্পর্কে  কিছুটা অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এব্যাপারে ইউডি মামলা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।