• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দালালদের কাছে জিম্মি রমেক

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯  

দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(রমেক)। এতে করে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষরা সর্বশান্ত হচ্ছে তাদের পাল্লায় পড়ে। জরুরি বিভাগ, প্যাথলজি, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে তাদের অবাধ বিচরণ।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় তারা এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দলালদের উৎপাত ঠেকাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনছার নিয়োগ দিলেও কোনো কাজে আসছে না। তাদের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন সেখানকার চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ রোগীরা।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মেডিকেল পূর্ব ও পশ্চিম গেট সংলগ্ন দালালদের আবাসস্থল। তারা মাদক, ছিনতাই, হাসপাতালের ওষুধ চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত। আগে দালাল প্রতিরোধে হাসপাতালের ওয়ালে ওয়ালে পোস্টার সাঁটানো থাকলেও এখন তা আর নেই।

দালালরা হাসপাতালের প্যাথলজি, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে রোগীদের ভাগিয়ে নিতে সেখানে ওৎ পেতে থাকে। জরুরি বিভাগে তাদের সব সময় দেখা মেলে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে দালালরা হয়ে ওঠে বেপরোয়া। সে সময় তারা মরদেহ নিয়ে টানটানিতে করতেও দেখা যায়। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। করলেও তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। 

হাসপাতালে দালালদের উৎপাত ঠেকাতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন আনসার বাহিনীর ৬০ সদস্য।

আনসার বাহিনীর সদস্যরা জানান, তারা নিরস্ত্র। এসব কারণে তাদেরও দালালদের অপকর্ম সহ্য করতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে থাকছে।

হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সেখানকার কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ মর্যাদার একজন সেনা কর্মকর্তাকে হাসপাতালের পরিচালক পদে নিয়োগের দাবি তুলেছেন। এর আগে একজন সেনা কর্মকর্তাকে যুক্ত করতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে দাবি উঠেছিল। সে সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। 

তিনি সে সময় ওই দাবির প্রেক্ষিতে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তা আর হয়নি বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

রমেকের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবু সাঈদ রফিকুজ্জামান জানান, স্থানীয় দালালদের কাছে হাসপাতালটি পুরো জিম্মি। হাসপাতালের সার্বিক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পরিচালক পদে একজন উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা জরুরি।

রংপুর র‌্যাব-১৩ কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, দালালদের জিম্মি দশা থেকে হাসপাতালকে মুক্ত করতে ডিসির অনুমতি নিয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো যেতে পারে।