উলিপুরে ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়ী নির্মাণ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়ীঘর নির্মাণ নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়েছে। ইউপি সদস্য বিষয়টি স্বীকার করে অবিক্রিত ত্রাণের ঢেউটিন কিনে ঘর তোলেন বলে জানান। অভিযোগ উঠেছে ঘনিষ্ট স্বজনদের নাম তালিকাভুক্ত করে তিনি সেই ঢেউটিন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও , হতদরিদ্রদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মর্জিনা বেগম হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে প্রায় ৩২ হাত লম্বা একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তবে ওই ইউপি সদস্যের দাবী তিনি টাকা দিয়ে ত্রাণের টিন কিনে বসত ঘর নির্মান করেছেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য তার নিজস্ব লোকের নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে টেউটিন বরাদ্দ নেন। পরে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের হাতে বরাদ্ধের আংশিক টাকা তুলে দিয়ে অবশিষ্ট টাকা ও ঢেউটিন নিজের হেফাজতে রাখেন। পরবর্তিতে ওইসব ত্রাণের টিন দিয়ে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য মর্জিনা বেগম তার নিজের বসতবাড়িতে প্রায় ৩২ হাত লম্বা একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তার এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবারগুলো সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে ঘর তোলার কথা স্বীকার করে  ম‌র্জিনা বেগম জানান,  আ‌মি ৩ জনের কাছ থেকে ৫ বান্ডিল টিন সা‌ড়ে ৪ হাজার টাকা দ‌রে কি‌নে নি‌য়ে‌ছি। যা‌দের কা‌ছ থেকে কিনে নিয়েছেন তা‌দের নাম জানতে চাই‌লে তাদের নাম প্রকা‌শে অপারগতা জানান তিনি। 

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এগুলো সেনা বাহিনী কর্তৃক দেয়া ত্রাণের টিন। শুধু মর্জিনা নয় আরও ২ থেকে ৩ জন ইউপি সদস্য কৌশলে ওইসব টিন আত্মসাৎ করেন। ঘটনাটি ওই সময় তদন্ত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেও তদন্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।