দুর্লভ সব বৃক্ষ শওকত মাস্টারের সংগ্রহে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নানা জাতের দুর্লভ বৃক্ষের সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন শওকত আলী মাস্টার। তার সংগৃহীত এই গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি এখন স্থানীয় গ্রামবাসী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষপ্রেমিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। 

প্রকৃতি ও মানুষের উপকারে আসা বৃক্ষ সমন্ধে জানতে পারায় সচেতন হচ্ছে মানুষ ও নতুন প্রজন্ম। এরই মধ্যে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শওকত আলী মাস্টার এমন কাজ করে যাচ্ছেন। 

গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট ইউপির শীতল গ্রামের সত্তর বছর বয়সী শওকত আলী প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করলেও এখন তিনি পেশায় একজন হোমিও চিকিৎসক। তবে ছোট বেলা থেকেই বৃক্ষের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তার। তাই ২৫ বছর ধরে নিজ বাড়ির উঠান ও পুকুর পারে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষ সংগ্রহ এবং রোপন করে আসছেন তিনি। 

বিভিন্ন দুর্লভ গাছসহ তার সংগ্রহশালায় এখন প্রায় ২শ’র বেশি নানা প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। শওকত আলী মাস্টার এরই মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদক। 

লিটন মিয়া নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, দুর্লভ নানা জাতের এ বৃক্ষের সংগ্রহশালা দেখতে প্রতিনিয়ত আসেন স্থানীয় গ্রামবাসীসহ আশপাশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

তারা জানান, সংগৃহীত গাছের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন শওকত আলী। সেই সঙ্গে গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে  ধারণা দিয়ে থাকেন। এতে নানা গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে  অনেক কিছু জানা যাচ্ছে।

গ্রামবাসী আব্দুর রহমান বলেন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবনে বৃক্ষের যে অবদান তা সম্পর্কে জানতে পারায় বৃক্ষ সংরক্ষণে সাধারণের মাঝে আগ্রহ যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বৃক্ষ নিধনে সচেতনতাও  বাড়ছে। 

বৃক্ষের সংগ্রহশালার উদ্যোক্তা শওকত মাস্টার বলেন, বৃক্ষ সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেও মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বৃক্ষের সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। কোনো সম্মাননার জন্য নয়।