• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

`বিএনপি’র শাসনামলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছিল`

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, অতীতে গর্ভবতী মায়েরা বেশির ভাগ নিজ বাড়ীতে সন্তান প্রসব করতেন। আর পাশে থাকতেন দাই মা। তখন প্রসব মৃত্যুর হারও ছিল বেশি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রসব মৃত্যুর হার কমেছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পায় সে জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে সেগুলো গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছিল। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসায় সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা প্রদান করছে। এই ক্লিনিক গুলোতে জটিল কোন রোগের চিকিৎসা না হলেও সাধারণ জনগণ যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা পায় সে কারণে ৩৬ প্রকার ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে ভগিরপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন শেষে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রজেক্টের আয়োজনে মা সমাবেশ ও ডিজিটাল ডিভাইস (স্মার্ট বালা) উদ্বোধন এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতি প্রদানের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি গোপাল এসব কথা বলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ভগীর পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন ও আশি জন গর্ভবতী মায়ের হাতে কোয়েল (ডিজিটাল ডিভাইস স্মাট বালা) প্রদান করা হয় ও তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক-ভোগডোমা, নাগরগঞ্জ ও শীতলাই কমিউনিটি ক্লিনিকে তিন সেট আট প্রকারে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাবের মো: সোয়েব, বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা পারভিন, তাকেদা প্রজেক্ট এর কো-অডিনেটর রিচার্ড তাপস দাস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুর, বীরগঞ্জ থানার কর্মকর্তা সাকিলা পারভীন, জেলা পরিষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শামিম ফিরোজ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বৃষ্টি আক্তার।

উক্ত অনুষ্ঠানে তাকেদা প্রজেক্ট এর কো-অডিনেটর রিচার্ড তাপস দাস প্রজেক্ট এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস স্মাট বালার গুরুত্ব সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য তাকেদা হেলদ্ ভিলেজ প্রজেক্ট সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রজেক্ট অফিসার-পিযুষ কুমার চাকি, মনিটরিং অফিসার আরিফা নাসরিন ও প্রজেক্ট অফিসার সুবল হরিজন ও প্রোগ্রাম অফিসার যোসেফ মিন্জ ও মাঠ কর্মী উপস্থিত ছিলেন ও গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।