• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে নিকাহ্ নিবন্ধক গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

লালমনিরহাটে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর শুক্রবার (২০সেপ্টেম্বর) রাতে ওই বিয়ে পড়ানো কাজী শহিদুল ইসলাম(৪৮) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শহিদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকী এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের নিকাহ্ নিবন্ধক।      

লালমনিরহাট থানা পুলিশ জানায়,  বুধবার গভীর রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় ধর্ষনের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমসহ চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাহীন আলমকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। ওই ধর্ষিতা নাবালিকা শিক্ষার্থীর সাথে ধর্ষক প্রাইভেট মাষ্টারের সাথে বিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজী শহিদুল ইসলামকে বুড়িরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।         

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। ধর্ষক প্রাইভেট মাস্টার শাহীন আলমের সাথে ধর্ষনের শিকার নাবালিকা শিক্ষার্থীর বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজী শহিদুল ইসলামকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।          

এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষক শাহীন আলম ও ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বুধবারেই তাকে হাতীবান্ধা সার্কেল অফিসে বদলি করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর এ সার্কেলের দায়িত্বে থাকা এএসপি এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, এসআই মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখনই এই ব্যাপারে কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।   

মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিকাহ্ নিবন্ধক শহিদুল ইসলাম থানায় দাবী করে বলেন, 'আমি ওই বিয়ে দেননি। এমন কি তাদেরকে আমি চিনিও না। আমার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র চলছে।'  

উল্লেখ্য, গত আড়াই মাস আগে ২৫ জুলাই ওই শিক্ষার্থীকে লালমনিরহাটের একটি স্থানীয় ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে মেয়ের বাবা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, ১১ আগষ্ট থানায় মেয়ের বাবা একটি অভিযোগ দেন। এরপর ২৩ আগষ্ট শাহীন আলম ও ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়। এর আগে প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমের  নিকট কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ ওই সপ্তম পড়ুয়া ছাত্রীও প্রাইভেট পড়ত।