• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জী‌বিত থে‌কেও জান‌লেন তারা বেঁ‌চে নেই!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য তিন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের পরিবর্তে অন্য তিনজনকে কার্ড করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলার হাতীবান্ধা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাকদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

যাদের মৃত দেখানো হয়েছে তারা হলেন- ওই গ্রামের পূর্ণ চন্দ্র সরকার, খুশি মোহন ও আরজু মিয়া। যারা কার্ড পেয়েছেন তারা হলেন- একই গ্রামের মো. রবি মল্লিক, মো. এরশাদ মল্লিক ও রহমান শিকদার।

ওই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাশেম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভাতা তুলে নিজেই আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ইউপি সচিব মো. মোশারফ হোসেনের তৃতীয়বারের মতো বদলির আদেশ স্থগিত করা নিয়ে চলছে সমালোচনা।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় এক বছর আগে তাদের বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তারা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের পরিবর্তে নতুন তিনজনকে ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে।

হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগীরা টাঙ্গাইলের ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের তদন্ত করছেন।

একাধিক ইউপি সদস্য জানান, মোশারফ হোসেন সাড়ে চার বছর ধরে ইউপি সচিব পদে রয়েছেন। এ সময়ে তিনি জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন কাজের জন্য জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি খারাপ আচরণ করেন।

অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন বলেন, জনগণের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জীবিত ব্যক্তিদের মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড দেয়া প্রসঙ্গে ওয়ার্ড মেম্বার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।

আরেক অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. হাশেম মিয়া বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চক্রান্ত করে আমাকে এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।