‘কবর দেওয়ার জায়গাও নাই বাহে’
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
এক একর আবাদি জমি, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু ছিল। সবগুলা তিস্তা নদী গিলে খাইছে। পাঁচবার ভাঙ্গতে হইছে বাড়ি। এখন মরলে কবর দেওয়ার মতো জায়গা নাই বাহে। বাঁধ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভোট নেয়। এমপি মন্ত্রী হইলে আর দেখা পাওয়া যায় না। হামার দু:খ কায়ো দেখে না বাহে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বিধ্বস্ত লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সিংগিমারী গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মাহবুবার রহমান (৮৫)।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিস্তা নদীর বাম তীরে তাদের সিংগিমারী গ্রামের ১০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে। গ্রামটির বাসিন্দা মানিক, তোফাজ্জল, মোকলেছার, মন্টু, মোজাহার, মতিন, রফিকুল, দুলাল, মকবুল ও আব্দুল জলিলকে রাতের মধ্যে ঘর বাড়ি সরাতে হয়েছে। কেউ অন্যের ডোবা জমিতে বা বাঁশ বাগানে ঘর আপাতত রেখেছেন। কেউ জায়গা না পেয়ে ঘর খুলে রাস্তার পাশে স্তূপাকারে রেখে খুঁজছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই।
একবার বা দুই বার নয়। কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বার পর্যন্ত তিস্তার করাল গ্রাসে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন অনেকে। দ্বিতীয়বার থেকে ঠাঁই হয়েছে অন্যের পরিত্যক্ত জমিতে। তবুও মাত্র একটি ঘর বা টিনের নিচে তাদের মানবেতর জীবন-যাপন। কেউ কেউ জমি বন্দক নিয়ে ঘর বাড়ি গড়ে তুলেন। কিন্তু রক্ষা নেই, বছর অতিবাহিত না হতেই আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয়। তাই ত্রাণ নয়, তিস্তা নদী খনন করে স্থায়ী বাঁধ দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে পরদিন রাত ১ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বন্যায় প্লাবিত হয় নদী তীরবর্তী অঞ্চল।
এর একদিন পর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পানি প্রবাহ কমে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি ঘটে। স্বল্প সময়ের এ বন্যায় তিস্তা পাড়ের কৃষকদের আমন ধান ক্ষেত ডুবে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল জেলার ৫টি উপজেলার পাঁচ থেকে সাত হাজার পরিবার।
বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি মেরামত করতে না করতেই ভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তার বাম তীরের মানুষ। বন্যার পানি কমলেই তিস্তার তীরে ভাঙন শুরু হওয়া তিস্তা নদীর একটা চিরাচরিত রূপ বলে দাবি করেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।সিংগিমারী গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ে গত এক মাসে তিনবার বাড়ি সরাতে হয়েছে। জীবনে ১৮ থেকে ২০ বার তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছি। বন্যা আর ভাঙনের সময় রাত জেগে পাহারা থাকতে হয়। ঘর বাড়ি ভেসে যাওয়ার আতঙ্কে কাটে রাত। ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ চাই। যাতে ডাল ভাত খেয়ে নিশ্চিন্তয় ঘুমাতে পারি।
তিস্তা পাড়ের দক্ষিণ বালাপাড়ি গ্রামের জামিলা বেগম বলেন , এ বন্যা স্থায়ী না হলেও স্রোতে গতি ছিল খুব বেশি। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে। বাড়ি ঘরের অনেক জিনিসপত্র পানিতে ভেসে গেছে। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর মত রাস্তাও নেই। চারদিকে পানি; তাদেরকে স্কুলে পাঠানোও অনিরাপদ। পেটের দায়ে শ্রম বিক্রি না করে সন্তানদের স্কুলে রাখতে গেলে না খেয়ে মরতে হবে।
গেল ভোটের সময় মন্ত্রী বললেন, উজানে তিস্তার বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে। ভোট দিলে বাকী কাজ শেষ হবে। ভোট নিয়া এখন আর বাঁধের কোন খবর নাই। সবাই খালি গরিবকে ধোঁকা দেয়- যোগ করেন জামিলা বেগম।
সদর উপজেলার কালমাটি বাগডোরা গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল বলেন, কতবার আর বাড়ি সরাই? কেউ তো বাড়ি করার মত জমি দিতে চায় না। জীবনে আটবার বাড়ি ঘর বিলিন হয়েছে। রাস্তার ধারে করা টিনের চালার পাশেই বয়ে চলছে হিংস্র তিস্তা নদী। যেকোনো মুহূর্তে ভেসে যাবে ঘর বাড়ি। কিন্তু জায়গার অভাবে সরাতে পারছি না।
তিনিও তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলী হায়দার বলেন, ইতিপূর্বে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে পরিবার প্রতি দুই বান ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। গেল বন্যার পর নতুন করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে তাদেরকেও পুনর্বাসন করতে টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- ২৫ অক্টোবর টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু
- ৩২ মাসের বকেয়া বেতন চায় সাইনোভিয়ার শ্রমিক-কর্মচারী
- রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : শফিকুল আলম
- ডিমলায় মোটরসাইকেল চুরি, দিশেহারা ব্যবহারকারীরা
- ডিমলায় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ৪ যুবক আটক
- রংপুরে ৬৮ ভাগ কিশোরী বাল্যবিবাহের শিকার
- মাদক সেবনের অপরাধে ২ যুবককে ৭ দিনের কারাদণ্ড
- কুড়িগ্রামে জারায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সভা
- বেরোবিতে পুলিশ ক্যাম্পের কার্যক্রম পুনরায় শুরু
- কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ডানা?
- ভূরুঙ্গামারীতে ৭ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন দুই শিক্ষক
- ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাল্টাপাল্টি মামলা
- শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সারদায় পুলিশের ২৫০ এসআইকে অব্যাহতি
- ‘আমি ভীতু, আসিফ ভাই সাহসী, এজন্য তার বেশি সম্মান প্রাপ্য’
- ‘একজন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি আর কতদিন টিকবে’
- পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ফেরিওয়ালার লাশ
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা
- সামগ্রিক উন্নয়নে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে
- রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
- রংপুরে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
- ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ওপর হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল
- আফগানিস্তানে রাস্তাঘাটের নামকরণ হবে ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুযায়ী
- ভারতে তিন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- হিজবুল্লাহর তিন কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
- কাহারোলে বস্তায় সবজি চাষ করে সাফল্য
- শেষ সময়েও একা ছিলেন মনি কিশোর
- নীলফামারীতে জেল সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
- জামিন পেলেন না মান্নান
- টি-টোয়েন্টিতে ‘ওয়ানডে’ খেলে ১০০-ও হলো না বাংলাদেশের
- এবছর রংপুরের তিন নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ
- নামাজের সময়সূচি: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- নামাজের সময়সূচি: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গ্রেফতার
- নামাজের সময়সূচি: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- বন্যায় তিন জেলায় ১০ মৃত্যু, শেরপুরেই ৮ জন
- সম্পদের হিসাব দিতে হবে ইসি কর্মকর্তাদের
- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, বিষয়টি গুজব
- বিরলে দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা
- নাগেশ্বরীতে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতর
- দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি
- সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার
- হামলা চালানোর আগে নাসরাল্লাহর অবস্থান যেভাবে জানতে পারে ইসরায়েল
- সরকারের কাছে চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
- দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে সোনা
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- পুত্রবধূর মৃত্যুর খবর শুনে শাশুড়ির মৃত্যু