• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভিজিডির চালের সঙ্গে বন্ধুচুলা বাবদ জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং শতগ্রাম ইউনিয়নে হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ ভিজিডির চাল নিতে আসা সুভিধাভোগীদের কাছে বন্ধুচুলা বাড়িতে স্থাপন বাবদ ৬০০ টাকা বাধ্য করে উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন অসহায় হতদরিদ্র নারীরা। জোর করে চুলা বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরতও দিয়েছেন বন্ধুচুলা প্রকল্পের সহকারী জেলা ম্যানেজার মোঃ রাকিবুল ইসলাম সোহেল।

গত সোমবার বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং শতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির বরাদ্দকৃত চাল নিতে আসা নারীদের কাছ থেকে মোট ৪৮ হাজার টাকা আদায় করা বলে জানান ভিজিডির চালপ্রাপ্ত একাধিক সুভিধাভোগী মহিলা।

অভিযোগকারী ভিজিডির চাল নিতে আসা শতগ্রাম ইউনিয়নের মোছাঃ আশা বেগম বলেন, 'আমার বাড়িতে চাল নেই। চার- পাচঁ কেজি চাল ধার কইরা খাইছি! এহন আইসা দেখি তিন বস্তা চাল পামু এজন্য ৬০০ টাকা চাইল। টাকা দিতে না পারলে চাল দিব না। পরে ধার কইরা আইনা টাকা দিছি '। আলেহা বেগম বলেন, 'চাল নিতে গেলাম আমারে কয় টাকা দেন চাল নেন। বন্ধু নিতে হবে, না হলে চাল হবে না।'

সুবিধাভোগী মহিলাদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ি পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ মোঃ জাকির হোসেন নামের এক তরুণ সমাজকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করলে টাকা উত্তোলনকারীদের দুজন পালিয়ে যায়।

পরে বন্ধুচুলা প্রকল্পের সহকারী জেলা ম্যানেজার মোঃ রাকিবুল ইসলাম সোহেল উত্তোলনকৃত ৪৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। এব্যাপারে ঝাড়বাড়ি পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ মোঃ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,' আমার' কাছে কয়েকজন গরিব ও অসহায় মহিলা এসে অভিযোগ করেন ভিজিডির চাল নিতে গিয়ে তাদের কাছে ৬০০ টাকা নিচ্ছেন। কীসের জন্য এই টাকা নিচ্ছেন এটাও অনেক মহিলা বলতে পারছেন না। পরে আমি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি বন্ধুচুলা বাবদ এসব অসহায় মহিলার কাছে জোরপূর্বক ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করি এবং বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

এবিষয়ে বন্ধুচুলা প্রকল্পের সহকারী জেলা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম সোহেল জানান, 'বন্ধুচুলা কেনা বাবদ প্রত্যেকের কাছে ৬০০ টাকা করে নিয়েছিলাম। তবে টাকা ফেরত দিয়েছি।' শতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ কে এম কুতুব উদ্দিন বলেন, 'আমি তো টাকা তুলিনি, তাই এবিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। টাকা তুলেছে বন্ধুচুলার লোকজন। আমরা শুধু কাউন্সেলিং করেছি সবার মাঝে। বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন বলেন, 'বন্ধুচুলা বাবদ ভিজিডির কার্ডধারী মহিলাদের কাছে ৬০০ করে টাকা নেওয়া হচ্ছে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই এই টাকা নেওয়া বন্ধু করে দিয়েছি এবং সবার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।' যার মাধ্যমে শতগ্রাম ইউনিয়নে বন্ধু চুলা গুলি আসেন মোঃ সোলেমান তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।