• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

রংপুর-৩ উপনির্বাচন রাত পোহালেই ভোট

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাল। সদর এ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে। ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর শূন্য এ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ রয়েছে। তবে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল সকাল ৯টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশন তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার এ আসনে পরীক্ষামূলক ইভিএমে ‘মক ভোট’ নেয়া হয়। তবে উপস্থিতি ছিল খুবই কম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও রংপুর-৩ সদর আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। তবে ‘মক ভোটিংয়ে’ সাড়া ছিল খুবই কম। সকাল ৯টা থেকে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের কর্মীরা গেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। নিজের মার্কার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, সব ঠিকঠাক থাকলে নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হবে নির্বাচন।

বৃহস্পতিবারও মোটর গাড়ি মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় হেঁটে বেড়িয়েছেন এবং ভোট প্রার্থনা করেছেন।

জানতে চাইলে আসিফ বলেন, মোটরগাড়ি মার্কার পক্ষে জোয়ার উঠেছে। নির্বাচনে কারচুপি না হলে মোটরগাড়ির জয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। উন্নয়নের স্বার্থেই রংপুরের মানুষ মোটরগাড়িকেই বেছে নেবেন।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদের পক্ষেও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দলের নেতাকর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে যান এবং ভোট প্রার্থনা করেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান ভোট কারচুপির আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ ভোট করে তাহলে ধানের শীষের জয় হবে।

এনপিপির আম প্রতীকের শফিউল আলম, মাছ প্রতীকের গণফ্রন্টের কাজী মা. শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মণ্ডল বৃহস্পতিবারও গণসংযোগ করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, আমাদের প্রস্ততি সম্পন্ন। রংপুর সদর এ আসনে ১৭৫টি কেন্দ্রের ১০২৩টি কক্ষে ভোট নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১০২৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২০৪৬ জন পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ৪৯টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুর সদরে ৫টি ইউনিয়ন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন ভোটার শনিবার ভোট প্রয়োগ করবেন।

বৃহস্পতিবার ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হয়। ভোটারদের ইভিএম মেশিন সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য এ মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার থেকে ভোটের পরের দিন রোববার পর্যন্ত প্রতি কেন্দ্রে আনসার, ভিডিপি, পুলিশ ও বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। প্রতি কেন্দ্রে অন্তত ৫ জন অস্ত্রধারী পুলিশসহ আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। এছাড়া ১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র‌্যাব, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দিন কাজ করবেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের একাধিক টিম নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত থাকবেন।

১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

মক ভোটিংয়ে সাড়া না পাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, আমরা প্রচার চালিয়েছি। কিন্তু ভোটাররা ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে কেন্দ্রে আসেননি। এ চিত্র মূল ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসেন তাহলে করার কি আছে।