• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে ‘ই জুডিসিয়ারি’ প্রকল্প নিয়েছে সরকার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি ও বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশন করার লক্ষ্যে চার বছর মেয়াদী ‘ই জুডিসিয়ারি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।


সোমবার সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের এমপি নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।

আনিসুল হক জানান, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিচারিক কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ৩৭ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে মোট ৭৬৮ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রমের পাশাপাশি ৮৮৬টি নতুন পদ সৃজনের কাজ চলছে। 

তিনি বলেন, ৪৪টি নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সৃজন করে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে আরো ১০০ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে।

আইনমন্ত্রী সংসদকে আরো জানান, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল সৃজন করা হয়েছে। শিগগিরই ওই ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারক নিয়োগ করা হবে। গাজীপুর ও রংপুরে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সৃজনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং মামলা সংখ্যা কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৯৫৫টি মামলা নিষ্পতি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ২৫ জন বিচারককে জাপান ও চীনে, ৩৯৬ জন বিচারককে ভারতে এবং ৩২৭ জনকে দেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

জাসদের এমপি বেগম শিরিন আখতারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, জেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা আদালত উপজেলা সদরে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।