• শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়ছে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯  

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর আরো ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের এ সম্পূরক শুল্ক দিতে হবে হবে, এ ছাড়া নতুন মোবাইল সিম কেনা ও প্রতিস্থাপনের কর ১০০ টাকার বদলে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়বে।

এ ছাড়া নতুন অর্থবছরের মোবাইল ফোন কম্পানির বার্ষিক মোট আয়ের (টার্নওভার) ওপর ন্যূনতম কর আড়াই গুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। স্মার্ট ফোন আমদানির শুল্কও বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেট বক্তব্যে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, পাঁচ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা আছে। এর ফলে গ্রাহককে মোবাইলে কথা বলতে হলে সব মিলিয়ে ২২ শতাংশ কর দিতে হয়। আরো ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় দিতে হবে ২৭ শতাংশের কিছু বেশি।

এদিকে মোবাইল কম্পানির আয়কর বাড়ানো সম্পর্কে বাজেট বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘বাস্তবতা বিবেচনা করে সব ধরনের কম্পানি করের হার অপরিবর্তিত রাখা হলেও মোবাইল কম্পানির বার্ষিক টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’

মোবাইল অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া: মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব গতরাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাজেটে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পসংশ্লিষ্ট খাতে যেসব কর আরোপ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রস্তাবিত করব্যবস্থার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব একটি বড় হোঁচট খাবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত উচ্চ করের বোঝায় জর্জরিত, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ। উচ্চ করের বোঝা নিয়ে এ শিল্প সামনে কত দিন টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে খাতসংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা বারবার তাঁদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। বিদ্যমান কর কাঠামোতেই বাজারে টিকে থাকা চারটি অপারেটরের মধ্যে তিনটিকেই বছরের পর বছর লোকসানের বোঝা টেনে যেতে হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘লোকসান গুনলেও এত দিন তিন অপারেটরের বিনিয়োগকারীদের অনেকটা বাধ্য হয়েই দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিয়ে আসতে হচ্ছিল। এবারের বাজেট ন্যূনতম এ কর হার বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে, যা আমাদের যারপরনাই হতাশ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যে মোবাইল অপারেটররা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, তাদের ওপর এমন কর হারের চপেটাঘাত একেবারেই অপ্রত্যাশিত। টিকে থাকার যুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের যখন প্রয়োজন সহযোগিতা, ঠিক সে সময়ে এমন কর হার আরোপ আত্মঘাতী।’

এ ছাড়া বলা হয়, ‘সব ধরনের মোবাইল পরিষেবা গ্রহণে সম্পূরক শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ডিজিটাল সেবা গ্রহণে আগ্রহী সব গ্রাহককে নিঃসন্দেহে বাড়তি চাপে ফেলবে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের সিম কর ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাবও নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করার খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে।’