• শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি বাড়বে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০১৯  

কৃষিকে সরকার বরবরের মতই গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০সালের বাজেট উত্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি। 
কৃষি খাতে বরাদ্দ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সার বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সারের দাম অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে চাল আমদানির ওপর বিদ্যমান সব্বোর্চ ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও সম্প্রতি আরোপিত ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে।

বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে মোট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ২৬ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়। পরে সংশোধিত বাজেটে তা ২৫ হাজার ৩৫২ টাকায় দাঁড়ায়। এই হিসেবে  প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে মোট বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

বাজেটে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ হাজার ১ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি বেড়েছে ৯৩১ কোটি টাকা। যা ভর্তুকি খাতে মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের শ্রমশক্তির ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত। কৃষি পুনর্বাসন, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে দেশে কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রাপ্ত কার্ডধারীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন।

কৃষিপণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান অব্যাহত রাখারসহ সারের  দাম অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সার বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার খামার ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।