• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯  

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধ আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

গণমাধ্যমে ধর্ষকদের ছবি বড় করে প্রকাশ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এখন অনেক মিডিয়া আছে, একটা ঘটনা যখন হয়, পত্রিকায় যখন নিউজ হয় এগুলো যেন আরও বেশি বেড়ে যায়। আমাদের মিডিয়ার সঙ্গে যারা আছে, তাদের উদ্দেশে এটাই বলবো যারা ধর্ষক তাদের চেহারাটা যেন বারবার দেখানো হয়। তার যেন লজ্জা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু সামাজিক অপরাধের প্রবণতা বেড়ে গেছে। শিশুদের ওপর অত্যাচার বা কথায় কথায় মানুষ খুন করা, ছোট শিশুদের খুন করার ঘটনা ঘটছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমাদের আইনটা আরও কঠোর করা দরকার।

তিনি বলেন, এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমি বলবো শুধু মেয়েরাই প্রতিবাদ করবো কেন? এখানে পুরুষ সম্প্রদায় আছে, তাদের জন্য লজ্জার বিষয় যে পুরুষরা অপরাধটা করে যাচ্ছে। সেজন্য পুরুষ সম্প্রদায়কেও আরও সোচ্চার হতে হবে।

চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫ তম বিসিএসে বয়সের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যাদের বয়স ২৩ থেকে ২৫ বছর তাদের মধ্যে ৪০.৭ ভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে উত্তীর্ণ ২৯-৩০ ভাগ। ২৭ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে উত্তীর্ণ ১৩.১৭ ভাগ। ২৯ এর বেশি বয়স যাদের তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ মাত্র ৩.৪৫ ভাগ। ফলে ৩৫ বছরে যারা পরীক্ষা দেবে তারা পাস করবে কিনা এটাই বড় প্রশ্ন।

শিক্ষাখাতে যত ভর্তুকি দেওয়া হয় পৃথিবীর আর কোথাও দেওয়া হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকার কত টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন,  আমরা মানুষের কথা চিন্তা করি। উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত তাদের কথা চিন্তা করেই কিন্তু যত টাকা লাগছে আমরা দিয়ে যাচ্ছি। যাতে পড়ালেখাটা করে দেশের জন্য তারা কাজ করতে পারে সেটাই আমরা চাই। আমরা যত টাকা দরকার দিয়ে যাচ্ছি। আমি চাই শিক্ষার মান বাড়ুক। শিক্ষাটা গ্রহণ করুক। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে দুপুর দুইটার পর ক্লাসই হতো না। এখন রাতেও ক্লাস হয়। আগে সেখানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল, এখন আর আগের মতো গোলাগুলি, অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায় না। আমরা শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু আমরা সারা দেশে সেই পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছি। আস্তে আস্তে পরিবেশ আরও উন্নত করতে পারবো।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হতো। সে মর্যাদাটা আবার ফিরে আসুক সেটাই আমরা চাই। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মানটা যেন উন্নত থাকে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভিসির বাড়িতে আগুন, লুটপাট করা, যা ছিল সব লুট করে নিয়ে যাওয়া, এ ধরনের ঘটনাতো আমরা আগে দেখিনি। এমনভাবে আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানো হলো, সিসিটিভি খুলে নেওয়া হলো, আক্রমণ করা হলো। এটা তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আশেপাশের বিল্ডিংয়ে সিসিটিভি ক্যমেরা ছিল সেখান থেকে ফুটেজ নিয়ে মামলা হয়েছে। আমি বলবো, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এবং এই মামলাগুলো সচল করে শাস্তি দেওয়া দরকার। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এরকম করতে না পারে।