• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

শপথ নিলনে নতুন এক মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ হলো আরও এক মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী। শনিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইমরান আহমদ ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফজিলাতুন নেসা। 

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। 

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

শনিবারই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের দফতর বণ্টন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া ইমরান আহমদকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

আর ফজিলাতুন নেসা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইমরান আহমদকে মন্ত্রী ও ফজিলাতুন নেসাকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ নেয়ার দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

নতুন একজন যুক্ত হওয়ায় এবং পুরোনো একজনের পদোন্নতির পর মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়াবে মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী তিনজন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনের ছয় মাসের মাথায় সম্প্রসারিত হলো মন্ত্রিসভা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী স্থান পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।

পরে গত ১৯ মে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করা হয়। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।

একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন স্বপন ভট্টাচার্য।