• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পীরগঞ্জে অজ্ঞাত কারণে একই বিদ্যালয়ের ৩৭ ছাত্রী হাসপাতালে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯  

রংপুরের পীরগঞ্জে একই বিদ্যালয়ের ৩৭ ছাত্রী  হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, কেউ কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।

গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার দিবাগত রাত পর্যন্ত ওই সকল ছাত্রীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তারা সবাই উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর কালসারডারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হবিবর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির তহমিনা ও বিথী, ৭ম শ্রেণির নুপুর, ৮ম শ্রেণির রিপা ও পুর্ণিমা, ৯ম শ্রেণির কল্পনা, ১০ম শ্রেণির নুরজাহান অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৫জনকে ছেড়ে দিলেও ২জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছুটির পরে আরও ৭জন ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ধাপে ধাপে মোট ৩৭জন ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডিউটিরত মেডিকেল অফিসার বকুল চন্দ্র জানান, এদের অধিকাংশ ছাত্রী মাথা ব্যাথা ও বুকে জ্বালা করার কথা বললেও কয়েকজন শ্বাসকষ্টের কথা জানায়। চিকিৎসা নেয়া ছাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রীদের অসুস্থ হবার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। বিদ্যালয় ও আশেপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষাক্ত কোন গ্যাসে এ ঘটনা ঘটেনি তা নিশ্চিত হয়েছি। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বুলেট জানান, অধিকাংশ ছাত্রীরা সকালে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বিদ্যালয়ে আসে, দীর্ঘসময় খাবার পেটে না পড়লেও তারা বিদ্যালয়ে ঝাল-মুড়ি বা চানাচুর জাতীয় খাবার খেয়ে পেটে গ্যাস/এসিডে আক্রান্ত হয়েছে। আর একসাথে এতো সংখ্যক ছাত্রী অসুস্থতা একটি মানসিক ভীতি/সমস্যার কারণে হয়েছে।  এর আগেও দেশের অনেক স্থানে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনি সন্তানদের অভয় দিয়ে অভিভাবকদের সচেতন সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।

তিনি আরও জানান, ৩৭ জনের মধ্যে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৪ জন ছাত্রী হাসপাতালে রয়েছে এবং ওরা সুস্থ আছে। বাকিরা বাড়ি ফিরে গিয়েছে।