• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

তারেকের পরামর্শে কানাডামুখী বিচারপতি সিনহা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন দুর্নীতি মামলার আসামি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। আলোচিত ও সমালোচিত ওই বিচারপতির আপডেট নিয়মিত লন্ডনে যাচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। 

কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় পেলে তারেক রহমানের ব্যবসা-বাণিজ্য দেখভালেরও সুযোগ পাবেন সিনহা, এমন গুঞ্জন আলোচিত হচ্ছে খোদ কানাডা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

টরেন্টো থেকে ইতালিয়ান ভাষায় প্রকাশিত ‘কোরিয়েরে কানাডিজ’ পত্রিকার বরাতে জানা যায়, গত ৪ জুলাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কানাডায় যান। ফোর্ট ইরে বন্দরের মাধ্যমে কানাডায় প্রবেশ করেন তিনি।  এরপর সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।  গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন সিনহা।  সেই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এস কে সিনহার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে কানাডা বিএনপির সভাপতি আহাদ খন্দকার বলেন, নিপীড়িত সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে তার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি আমাদের নেতা তারেক রহমানের পরামর্শে কানাডায় আশ্রয় চেয়েছেন। এই বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক আইনজীবী লর্ড কার্লাইল এস কে সিনহাকে সহায়তা করছেন।

তিনি আরো বলেন, গুঞ্জন শুনেছি-কানাডায় আশ্রয় পেলেও সিনহার আয়-ইনকামের কোন রাস্তা নেই। তাই তিনি বিএনপিকে আইনি পরামর্শ দেয়ার সুবাদে কানাডায় তারেক রহমানের প্রোপার্টি দেখাশোনা বাবদ বেতন-ভাতা পাবেন।  সিনহা আমাদের নেতার এই অফার গ্রহণ করেছেন।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, সিনহা সাহেব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে তিনি তাকে সহায়তা করেছেন। সিনহাকে সহায়তা করার জন্য কানাডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির খানকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান। বিনিময়ে সিনহা আমাদের আইনি পরামর্শ ও কূটনৈতিক উইংয়ের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, কানাডায় থাকতে তো অর্থ-কড়ির প্রয়োজন হয়। সেজন্য তারেক স্যার সিনহা সাহেবকে মাসিক প্রণোদনা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।  এখানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।  বিপদে পড়লে মানুষকে অনেক লজ্জাজনক কাজও করতে হয়।