• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

গুজব সৃষ্টিকারীদের বিচার করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০১৯  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা গুজব সৃষ্টিকারীদের বিচার করছি। ইতিমধ্যে গুজব সৃষ্টির জন্য অনেককে আটক করা হয়েছে। গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেলও শাস্তি পেতে হবে। এতে একশ' জন জড়িত থাক আর একজন জড়িত থাক, শাস্তি পেতেই হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীকে আইনের হাতে তুলে দিন।

গুজব ছড়ােনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি নানা ধরনের গুজবের দায়ে এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।  

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে গুজব ও সাইবার অপরাধ বন্ধে আয়োজিত কর্মাশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।  

কর্মশালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপদে বিচরণের কৌশলসমূহ, গুজব, সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যাখ্যা, আক্রান্ত হলে তা থেকে পরিত্রাণের উপায়, অভিযোগ জানানোর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিসহ সাইবার অপরাধের নানা বিষয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পাঁচদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি (ডিইউআইটিএস)।

এসময় মন্ত্রী বলেন, মাথা কাটা গুজব, বেসিনে হারপিক ঢেলে ডেঙ্গু মশা নিধনের গুজব, সারা দেশে তিন দিন বিদ্যুৎ থাকবে না গুজবসহ নানা ধরনের গুজব চলমান আছে। ছেলেধরা গুজবে রাজধানীতে এক মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গুজবের শাখা প্রশাখার বৃদ্ধিতে সাতজনের জীবন গেছে। আমরা এখন পর্যন্ত গুজবের দায়ে একশ’ জনের অধিককে আটক করেছি এবং তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করছি।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, যারা গণপিটুনি দিয়ে মানুষকে হত্যা করেন তারা একজন মিলে হত্যা করলেও শাস্তি পেতে হবে একশ’ জন মিলে করলেও শাস্তি পেতে হবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনায় আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানান কিংবা ৯৯৯ এ জানান।

গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা দরকার জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষিত সমাজ জানে যে গুজবগুলো চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা জানেন এসব গুজব একেবারেই নড়বড়ে। তাই এসব গুজবের বিরুদ্ধে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য করেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের ডিআইজি মো: শাহ আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

কর্মশালার আয়োজকরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলসহ ইডেন ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের দুই হাজার শিক্ষার্থীকে সাইবার অপরাধের পরিত্রাণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করেন সিআইডি’র চৌকস ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।