• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শহর রক্ষা বাঁধে কোনো গাফিলতি বরদাশত করা হবে না - শিক্ষামন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯  

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও টিন বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এখানে ভাঙন শুরু হওয়ার কয়েক দিন পূর্বেই আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, কারণ মেঘনার ভাঙন একবার শুরু হলে মুহূর্তেই পুরো শহর তলিয়ে যাবে।

দীপু মনি বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রীসহ সবার সঙ্গে কথা বলার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য আমি তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর শহরকে রক্ষায় এরই মধ্যে বিশাল প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তবে সবার আগে আমরা যারা নদীর তীর এলাকায় রয়েছি তাদেরকে সচেতন হতে হবে।

শিক্ষমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে যে কয়টি দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যে করেই হোক আমাদের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে। এ সময় তিনি তার অসুস্থ স্বামীর জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ভারপ্রাপ্ত ডিসি মঈনুল হাসান, অতিরিক্তি এসপি মো. মিজানুর রহমান, সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী।

এদিকে নদীগর্ভে বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ বিলীন হওয়া সম্ভুনাথ মজুমদার, চয়ন সাহা, গুপি নাথ সাহা, দিপক দে, বিমল দে, ধ্রুব সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, মানিক সাহা, সুশান্ত মজুমদারসহ ৯টি পরিবারকে দুই ভান টিন ও ৬ হাজার টাকা অনুদান চেক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।