• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

১৫ আগস্ট যেন ৩২ নম্বরে কারবালার পুনরাবৃত্তি: প্রধানমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দিয়ে ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেদিন ৩২ নম্বর হয়েছিল কারবালার পুনরাবৃত্তি।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই দেশে গুম খুন ও হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে স্যার টমাস উইলিয়ামস এমপিকে বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়া হয়নি। কারণ  হত্যার বিচার চায়নি জিয়া।

বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বিএনপি নেতারা নতুন সাফাই গাইতে শুরু করেছে বলে মন্তব্যও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছে, ৭৫ সালে তো বিএনপি গঠনই হয়নি তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপি কিভাবে জড়িত হলো?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা, সেই জিয়াউর রহমান নিজেই খুনি। জিয়াউর রহমান শুধু খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল না, এই হত্যার বিচার হবে না সেই ব্যবস্থাও সে করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। ডালিমসহ অন্যদের যখন বিদেশে পাঠানো হলো অনেক দেশ তাদের গ্রহণ করেনি। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সপক্ষে ছিল, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কূটনীতিক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। 

তিনি আরো বলেন, দেশের ভেতরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তারাও পরবর্তীতে জিয়ার সঙ্গে গেছে। অনেকে এখনো বেঁচে আছে, বড় বড় কথাও বলে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এমপি’র সভাপতিত্ব অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।