• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ যাবে সরকারি কোষাগারে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত ৬৮ প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা রাখার বিধান রেখে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমাবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। 

তিনি বলেন, দেশের স্ব-শাসিত সবগুলো প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজস্ব তহবিলে সবশেষ অর্থের পরিমাণ দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই টাকা স্থিতি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে অলস পড়ে আছে। টাকাগুলো ভালো কাজে ইনভেস্ট হচ্ছে না, এ জন্য সরকার এই আইনের মাধ্যমে এই অলস টাকাগুলো ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অর্থের কিছু প্রভিশন রেখে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসার জন্য এ আইন পাস করা হয়েছে। এই অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন বিভিন্ন প্রকল্প আর্থিক সংকটে আছে, সেগুলোতে ফাইন্যান্স করা হবে। তবে তারা কিছু কারণে তাদের উদ্বৃত্ত টাকা রেখে দিতে পারবে। কারণগুলোর মধ্যে প্রথমত, এই সংস্থাগুলো তাদের পরিচালন ব্যয় যা দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাৎসরিক ব্যয় হিসেবে প্রয়োজনীয় অর্থ নিজস্ব তহবিলে রেখে দিতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, আপদকালীন ব্যয়ের জন্য মোট পরিচালন ব্যয়ের আরো ২৫ শতাংশ এসব প্রতিষ্ঠান রেখে দিতে পারবে। 

তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক পেনশন এবং জিপিএস যেগুলো থাকে সেই অর্থও তারা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে রেখে দিতে পারবে। 

এসব ব্যয় নির্বাহের পরে যে অর্থ তাদের কাছে থাকে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের বিপদে পড়ার কোনো কারণ নেই বলেও জানান সচিব। 
 
এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার কথা উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, এই তালিকার শীর্ষে আছে ২৫টি প্রতিষ্ঠান। আর মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৮টি। আর এসব প্রতিষ্ঠানে অলস টাকা পড়ে আছে মোট ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলায় ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, পিডিপিতে ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ হাজার ৯১৩ কোটি এবং রাজউকে ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা বলেও জানান মোহাম্মদ শফিউল আলম।