সারাদেশে দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান

গ্রাহক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সারাদেশে আট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

বুধবার বিকেলে এসব অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

সমন্বিত জেলা কর্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে নতুন বিদ্যুৎসংযোগ ও মিটার প্রদান বাবদ গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে খুলনার কয়রা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।

অভিযানে দুদক টিম কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রামে বিদ্যুৎসংযোগ ও মিটার প্রদানের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা গ্রহণের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।

টিম গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, মহেশ্বরীপুর ইউপির চেয়ারম্যানের অনুগত কয়েকজন ব্যক্তি এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। টিম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে এবং প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভোগান্তি ব্যতিরেকে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়ার অনুরোধ করে।

একই টিম কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধ মেরামতের কাজে অনিয়ম পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে অভিযোগ আসে, উপজেলার ঘাটাখালী এলাকায় ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দপ্রাপ্ত একটি বাঁধ মেরামতের কাজ সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে প্রায় অর্ধেক মূল্যে সম্পাদিত হচ্ছে। টিম বাঁধ মেরামত সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করে। তথ্যাবলি বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

এ ছাড়াও বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আনা কাপড় বেআইনিভাবে স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিযোগে, বগুড়ার শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনকালে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে, বরগুনার পাথরঘাটায় রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে নকলনবিশ নিয়োগে ঘুষ দাবির অভিযোগে, নেত্রকোনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এমএসআর সংগ্রহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে এবং নেত্রকোনা আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া কলেজে ভর্তি করিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বগুড়া; সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী; সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজবাড়ী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ছয়টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।