• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নিরাপত্তা চেয়ে ৫৬ সাংবাদিকের জিডি!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সাদা পোশাকে এসে এনটিভি’র সাংবাদিক মঈনুল হক বুলবুলকে গ্রেপ্তার এবং দুই ঘণ্টা গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করার ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সিলেটের ৫৬ জন সাংবাদিক।

আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় তারা এই জিডি করেন। এসব সাংবাদিকের মধ্যে প্রায় সবাই বিভিন্ন টেলিভেশন চ্যানেলের সিলেট অফিসে কর্মরত এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সিলেটের সদস্য।

জিডিতে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মঈনুল হক বুলবুলকে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী একদল লোক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা আরও সাংবাদিকরা ওই সাদা পোশাকধারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় না দিয়ে কাউকে কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন।

ঘটনার পর থেকে উদ্বিগ্ন সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় যোগাযোগ করেও বুলবুলকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে কোনো তথ্য কিংবা সহযোগিতা পাননি। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর বুলবুলকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ।

জিডি করার বিষয়ে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী বলেন, ‘সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বুলবুলকে আটকের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। এমনকি বুলবুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত
অন্যন্য সাংবাদিকরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা কেউ তাদের পরিচয়ও দেননি।’

বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী আরও বলেন, ‘অভিযোগ থাকলে যে কাউকে গ্রেপ্তারের অধিকার পুলিশের রয়েছে। কিন্তু যে কায়দায় একজন সিনিয়র সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে আমরা শঙ্কিত। এই শঙ্কা থেকেই আজ আমরা ৫৬ জন নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়রি করেছি।’

এই সাংবাদিক জানান, পুলিশ জিডি গ্রহণ করলেও প্রথমে তারা জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘সাংবাদিকদের সাধারণ ডায়রি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক মইনুল হক বুলবুলকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ। প্রথমে বুলবুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরে একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন হয়।