• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন জিকে শামীমের কর ফাঁকি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

টেন্ডারবাজিসহ নানা অবৈধ কর্মকা- করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া ওরফে জিকে শামীম হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। নিজের পেশিশক্তি, টাকা এবং রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি এ সম্পদের মালিক হন। ইতোমধ্যে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম স্বীকার করেছেন, ঢাকার নিকেতনে ২টি, বনানীতে একটি ও বাসাবো এলাকায় তার

২টি বহুতল আলিশান বাড়ি রয়েছে; কিন্তু এর কোনোটিতেই তিনি থাকতেন না। নিজের থাকার জন্য বাসাবোর কদমতলায় তার ছিল অন্য বাড়ি। যার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল বিশেষ টিম। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে তার রয়েছে সম্পদ, ৯টি ব্যাংক হিসাব এবং বিপুল স্থায়ী আমানত।

এর আগে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে শামীমের ঠিকাদারির কাজ পাওয়ার তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। বিশেষ করে গণপূর্ত ভবনের বেশিরভাগ ঠিকাদারির কাজ ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। বাসাবোর কদমতলার ১৭ নম্বরের যে পাঁচতলা বাড়িটিতে শামীম থাকতেন তার দেখাশোনা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি। বাসাবোতে তার আরও দুটি ভবন আছে। এ ছাড়া রাজধানীর ডেমরা ও দক্ষিণগাঁওসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা, বান্দরবান এবং গাজীপুরে তার রয়েছে কয়েকশ বিঘা জমি।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, শামীম যেসব সম্পদের কথা স্বীকার করেছেন এর বাইরেও তার সম্পদ রয়েছে। ইতোমধ্যে তার সেই সম্পদের খোঁজে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। পাশাপাশি শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে আয়কর দিয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে সিআইসি সেল। ইতোমধ্যে কর সার্কেল থেকে তার আয়কর নথি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইসিতে তলব করা হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি উদ্ঘাটনে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে শামীমের সম্পদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদের সঙ্গে প্রকাশিত সম্পদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। যেসব জায়গায় অসঙ্গতি পাওয়া যাবে, সেখানে অনুসন্ধান করা হবে সিআইসির নিজস্ব টিম পাঠিয়ে। এ ছাড়া তার আয়-ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনা করতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হবে। একইভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের করফাঁকিও খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর শামীমের করফাঁকির অনুসন্ধান শুরু করেছে এনবিআর। আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদবিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত সম্পদের গড়মিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত কর ফাঁকি দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে শামীম আয়কর রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে ধারণা এনবিআরের।