• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

৩৬ খাতে পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

চলতি অর্থবছরে ৩৬টি খাতে পণ্য রফতানিতে বিকল্প নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ থেকে ২০ শতাংশ হারে এই সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে দুই খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা দেয়া হবে।

এগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ এবং কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সে ১০ শতাংশ দেয়া হবে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে যেসব পণ্য রফতানি হবে সেসব খাতে এই সহায়তা পাওয়া যাবে। দেশের রফতানি আয় বাড়াতে ও প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনের সুবিধার্থে এ সহায়তা দেবে সরকার।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশি বস্ত্র খাতে শুল্ক, বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ, আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত বস্ত্র খাতের নতুন পণ্য ও নতুন বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা ৪ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলের বস্ত্র খাতের রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ বিকল্প নগদ সহায়তা দেয়া হবে।

শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য খাতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হবে। কৃষিপণ্যের মধ্যে আলুতে ২০ শতাংশ, শস্য ও শাকসবজির বীজ রফতানিতে ২০ শতাংশ, আগর ও আতরে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে। বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্য রফতানিতে (কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকতে হবে) ২০ শতাংশ, পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্য (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) খাতে ১২ শতাংশ, পাটজাত সুতা (ইয়ার্ন ও টোয়াইন) ৭ শতাংশ সহায়তা দেয়া হবে। একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য (সের্জিক্যাল বা সার্জিক্যাল) রফতানিতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ।

শতভাগ হালাল মাংস রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়িতে ১০ থেকে ৭ শতাংশ এবং হিমায়িত অন্যান্য মাছ রফতানিতে ৫ থেকে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে।

চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে অবস্থিত কারখানা ও সাভারের বাইরে অবস্থিত নিজস্ব ইটিপি রয়েছে এমন কারখানায় উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রফতানিতে ভর্তুকি দেয়া হবে ১০ শতাংশ। এতে বলা হয়েছে, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন ও জুট পার্টিকেল বোর্ড রফতানিতে ২০ শতাংশ, ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারিতে ২০ শতাংশ, সিনথেটিক ও ফ্রেবিক্সের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা ও ব্যাগ রফতানিতে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া আরও কিছু পণ্যে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে আছে- প্লাস্টিক পণ্য, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও এ জাতীয় পণ্য, দেশে তৈরি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, হাতে তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, আখের বা নারিকেলের ছোবড়া, গাছের পাতা বা খোল, গার্মেন্টের ঝুট কাপড়, গরু, মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত), পেট বোতল ফ্লাস্ক হতে উৎপাদিত পলিয়েস্টার স্টাপল ফাইবার, মোটরসাইকেল, রেজার ও রেজার ব্লেডস, সিরামিক, টুপি, কাঁকড়া, কুঁচে ও জাহাজ রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে।