• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দুর্গাপূজায় মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৩ লাখ সদস্য

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

অক্টোবর মাসের চার তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। যা চলবে আট তারিখ পর্যন্ত। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। পূজা নিয়ে কেউ ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

জানা গেছে, এবার সারাদেশে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩১ হাজার ১০০টি। মণ্ডপের আশপাশে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা কমিটি থাকবে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে।

জানা গেছে, এবার পূজা মণ্ডপে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। স্থানীয় বখাটেরা যেন নারীদের উত্ত্যক্ত করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত থাকবে। 

এদিকে, যেখানে বিদ্যুৎ আছে সেসব স্থানের মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে স্থাপনের জন্যও বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সারাদেশে পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। দুর্গাপূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আমরা সবাই সজাগ থাকবো। 

তিনি আরো বলেন, পূজা মণ্ডপের আশপাশের এলাকায় যাতে জুয়া, হাউজিসহ এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়, সেজন্য যারা পূজা মণ্ডপ পরিচালনা করবে তারা ব্যবস্থা নেবেন। আশা করি পূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে।

এদিকে, পূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

সম্প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এবারো সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আশা করছি।

এদিকে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজশাহী,মানিকগঞ্জ,পটুয়াখালী, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মন্দির কমিটির সদস্যদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভা করছে জেলা পুলিশ। এসব সভায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারো শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের ক্ষেত্রে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে।