• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাড়বে হাওরের প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশে জলাভূমি কমে যাওয়ায় প্রকৃত জেলেরা দিনদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদও কমে যাচ্ছে। তাই জলাভূমি ও জেলেদের রক্ষা করতে হলে ধনীদের বিল ইজারা দেয়া বন্ধ করতে হবে বলে অভিমত পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত হাওরের ইজারা প্রথা ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এ বিষয়ে মত দিয়েছেন বক্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, জেলেসহ হাওরাঞ্চলের মানুষের কথা আমাদের বেশি বেশি শোনা দরকার। হাওরের প্রকৃত অবস্থাটি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। যত বেশি আমরা আলোচনা করবো তত বেশি জলাভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য উপযোগী পদক্ষেপ নিতে পারবো।

পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও গবেষক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক এমপি ছবি বিশ্বাস, মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক কাজী শামস আফরোজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা কুদ্দস আফরাদ, বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক পরিচালক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, হাওর গবেষক হালিম দাদ খান, পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, নেত্রকোনার জানমা মৎস্যজীবী সমিতির নেতা যোগেশ চন্দ্র বর্মণসহ আরো অনেকে।

গোলটেবিল আলোচনায় হাওর ও জলজীবন সম্পর্কিত ধারণাপত্র উত্থাপন করেন সৈয়দ আলী বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, হাওরাঞ্চলের বোমা মেশিন, অবৈধ বালু উত্তোলন, অপরিকল্পিত অবকাঠামো, উজানে অপরিকল্পিত খনন বন্ধ করতে হবে। প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন কমলেও চাষের মাছ কিন্তু বেড়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দ্বারা মাছের পোনা না ছেড়েও প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বক্তারা আরো বলেন, একটি সামগ্রিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক উৎস এবং প্রাকৃতিক সম্পদগুলো নিদারুণভাবে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়। দুঃখনজকভাবে দেশের বৈচিত্র্যময় জলাভূমিগুলো তাদের নাম-পরিচয় এবং বিশেষ বাস্তুসংস্থানের ধরন হারিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জলমহাল’ হিসেবে পরিচিত হতে থাকে বা পরিচয় করানো হয়। জলাভূমির সঙ্গে জড়িত স্থানীয় পেশাজীবী থেকে শুরু করে চারপাশের বৈচিত্র্যময় সম্পর্ককে অগ্রাহ্য করে জলাভূমিকে মনে করা হয় বাণিজ্যকভাবে মাছচাষের খামার।

বক্তারা বলেন, এই ধরনের খামারি মানসিকতা থেকে প্রশাসনকে বের হয়ে আসতে হবে।  

উল্লেখ্য, বেসরকারি সংগঠন আইইউসিএনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ২৬০ প্রজাতির মিঠা পানির মাছের মধ্যে ১২ প্রজাতির মাছ চরম বিপন্ন, ২৮ প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও ১৪ প্রজাতির মাছ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।