• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাপাসিয়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

১৯৭১ সালের ২৪নভেম্বর কাপাসিয়া হানাদারমুক্ত হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকেই কাপাসিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়।

কাপাসিয়া হানাদার মুক্ত হওয়ার ঘটনার বিবরণ দিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২৪৪ দিনের মাথায় কাপাসিয়া হানাদার মুক্ত হয়। আমাদের তীব্র ও কৌশলী আক্রমণে পাক সেনারা পেছনে হটতে বাধ্য হয়।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মাহমুদ আলম খান বেনুর নেতৃত্বে শপথ গ্রহণের পরই আমরা কাপাসিয়াকে হানাদার মুক্ত করতে পাকসেনা ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করি। সে থেকে শুরু হয় দেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ। পরবর্তীতে ভারত গমন, প্রশিক্ষণ শেষে অস্ত্রশস্ত্রসহ পুনরায় কাপাসিয়ায় আগমন এবং পাক সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ শুরু হয়।

২৪ নভেম্বর পাকসেনারা জামিরারচর ব্রিজ অতিক্রম করে রাজেন্দ্রপুরের দিকে অগ্রসর হয়ে যায়। তাদের আক্রমন করে গতিরোধ করার সুযোগ পাইনি। তবে তারা চলে যাওয়ার সাথে সঙ্গে জামিরারচর ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থানরত রাজাকারদের ঘেরাও করি। অস্ত্রসহ তাদেরকে আত্মসমর্পণ করাই। পরে তাদের মাথায় রাইফেল ও গোলাবারুদ দিয়ে কাপাসিয়ার দিকে নিয়ে আসি। তাদেরকে নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে কাপাসিয়া পাইলট স্কুলে যেখানে পাকসেনাদের ক্যাম্প ছিল সেখানে নিয়ে আসি।

তখনও কাপাসিয়া নদীর ওপারে চরে মুক্তিযোদ্ধারা অক্রমণের জন্য অবস্থানরত ছিল। আমি তখন কাপাসিয়া পাইলট স্কুলের নদীরপাড়ের আমগাছতলায় একটি উঁচু পিলারের উপর দাড়িয়ে রাজাকারদের নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেই এবং ঘোষণা দেই কাপাসিয়া মুক্ত। সবাই অ্যাম্বুস উঠিয়ে হানাদার মুক্ত কাপাসিয়া আসুন। দুপুরে সব মুক্তিযোদ্ধারা কাপাসিয়া আসে এবং সবাই মিলে বাঙালির প্রাণের শ্লোগান জয় বাংলা ধ্বনিতে কাপাসিয়া মুখরিত করে তুলি।