• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির গুজব এবং সত্যতা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০১৯  

সম্প্রতি দেশে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, বাংলাদেশ ভারতের সাথে অনৈতিক চুক্তি করে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস রপ্তানি করছে। অনেকেই বলছেন, যেখানে দেশের মানুষ গ্যাস পাচ্ছে না বা গ্যাসের সংকট যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করে? সমস্যা হল, এখানে মূল খবরটি যা ছিল, সেটিকে এক শ্রেণীর মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।

মূলত এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস নয় বরং তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি (LPG) রপ্তানি করা হবে।

লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি এবং কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি, এই দুটোর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। সিএনজি বা কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস হল প্রাকৃতিক গ্যাস, যেটাকে একটি বিশেষ নিম্ন তাপমাত্রায় তরলীকৃত করে বোতল বা সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়। আর এলপিজি হল, প্রোপেন বা বিউটেনকে বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে বোতলে বা সিলিন্ডারে তরলীকৃত গ্যাস আকারে সংরক্ষণ করা হয়।

বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এলপিজি রপ্তানি করতে সম্মত হয়েছে। এলপিজি রপ্তানির জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে বুলেট ট্রাকে চাপিয়ে, এলপিজি নিয়ে আসা হবে ত্রিপুরা বিশালগড় বটলিং প্লান্টে। তারপর সেই তরল গ্যাস সরবরাহ করা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে। তাতে এলপিজি সিলিন্ডার অনেক কম পরিবহন খরচে আর কম সময়ে পৌঁছে দেয়া যাবে ওইসব দুর্গম এলাকায়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ কোন প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করছে না। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ভারতের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি করে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় এলপিজি রপ্তানি করবে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এলপিজি রফতানি করা হবে বলেই দুই দেশের সরকার প্রধান একমত হয়েছেন।