• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

চাকরির প্রলোভনে সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক কারাগারে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৯  

মিঠাপুকুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত এবং মারপিট করে ফাঁকাস্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের নাম রফিকুল ইসলাম।

মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার গিলাঝুকি দক্ষিণপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে গোলাম মোস্তফা একটি ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করেন। পরিচয়ের সুবাদে পশ্চিমপাড়া জাহাঙ্গীর আলম, রামরায়ের পাড়ার রফিকুল ইসলাম দাবি করেন ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের ভালো সর্ম্পক আছে। সেখানে যোগাযোগ করলে চাকরি নিশ্চিত হয়ে যাবে। এ জন্য নয় লাখ টাকা দিতে হবে। এই প্রলোভনে গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ২০১৬ সালের বিভিন্ন তারিখে নগদ, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড এবং বিকাশের মাধ্যমে আট লাখ ৫৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন প্রতারক রফিকুল। এরপর দির্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চাকরি হয় না। এক পর্যায়ে গোলাম মোস্তফা টাকা ফেরত চান।

বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার কথা বলে প্রতারক চক্র ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে গোলাম মোস্তফা ও স্বাক্ষীদেরকে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে বেধড়ক মারপিট ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গোলাম মোস্তফার কাছে একশত টাকা মূল্যের ৫টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন প্রতারক জাহাঙ্গীর, রফিকুল ও তাদের সহযোগীরা। পরে অন্য স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলাম মোস্তফাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেন। বুধবার রাতে চেংমারী ইউনিয়নের পাগলারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ। তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।