• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

কাউনিয়ায় ম্যানেজারকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন তারা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বেসরকারি ঋণ সংস্থার এক ম্যানেজারকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ওই সংস্থার ছয় মাঠকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রংপুরের কাউনিয়ায় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও’তে এ ঘটনা ঘটেছে।  

আটকরা হলেন- মাঠকর্মী শামীম আলম, রেফাজুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, জাকির হোসেন, শামছু জামান ভুইয়া ও সহযোগিতাকারী (তথ্যদাতা) শহিদুল্লাহ কাওসার মজনু।

কাউনিয়া থানার এসআই আতিকুর রহমান জানান, ব্যুরো এনজিওর উপজেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাবিবর খানের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মাঠকর্মীরা ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। এ কাজে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হরিশ্বর গ্রামের শহিদুল্লাহ কাওসার মজনু সহযোগিতা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলের দিকে শহিদুল্লাহ কাওসার মজনু থানায় ফোন করে জানান যে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাবিবর খান মোটরসাইকেলে ইয়াবা পাচার করছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে আটক করেন। এ সময় তার মোটরসাইকেলের সিট কভারের ভেতর থেকে ১৫ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

এসআই আতিকুর রহমান আরো জানান, বিষয়টি ওসি স্যারের সন্দেহ হয়। পরে তার নির্দেশে তথ্যদাতা মজনুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে করলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর প্রকৃত রহস্য বের হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমকে দুইজন ও পরে চারজন মাঠকর্মীকে আটক করা হয়। সহযোগিতাকারী ও মাঠকর্মী ছয়জনই ইয়াবা দিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে স্বীকার করেন।

আটক মাঠকর্মীরা জানান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বিনা কারণে তাদের সঙ্গে ব্যবহার খারাপ করতেন। এমনকি পিতা-মাতা তুলে গালিগালাজ করতেন।

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাবিবর খান জানান, তার সহকর্মীদের বকেয়া ঋণ আদায়ে চাপ দিতেন। তাছাড়া তিনি কখনো আচরণ খারাপ করেননি। 

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর রংপুর জোনাল ম্যানেজার উত্তম বলেন, পুলিশের কাছে আটক ছয়জন মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। 

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা করেছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সাতজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।